ক্যাসিনো বাণিজ্যে বিতর্কিত দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে আটকের পর তাকে নিয়ে কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এছাড়া তার প্রথম স্ত্রী ও ছেলেকে খুঁজছে র্যাব। এসময় সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রীর মহাখালীর বাসার পাশাপাশি তার ভাইয়ের শান্তিনগরের বাসায়ও অভিযান চালানো হয়।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সম্রাটের কার্যালয়ে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় সেখান থেকে অবৈধ অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিনের বাসায় অভিযান চালালেও সেখানে কাউকে পায়নি র্যাব।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তার প্রথম স্ত্রী ও ছেলেকে খোঁজা হচ্ছে। তাদের পেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেত।
এর আগে বিকালের দিকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী। এ সময় তিনি দাবি করেন অবৈধ ক্যাসিনোবাণিজ্য চালিয়ে তিনি দলের নেতাকর্মীদের পালতেন বলে জানিয়েছেন।
এ সময় সম্রাটের স্ত্রী শারমিন সাংবাদিকদের বলেন, ওর সম্পদ বলতে কিছুই নেই। ক্যাসিনো চালিয়ে ও যে আয় করে তা দলের জন্য খরচ করে, দল পালে। আর যা থাকে তা দিয়ে সিঙ্গাপুরে গিয়ে জুয়া খেলে।
আরও পড়ুন: সম্রাটের ৬ মাসের কারাদণ্ড
জামায়াত নেতার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন যুবলীগ নেতা সম্রাট
সম্রাট-আরমান যুবলীগ থেকে বহিষ্কার
ক্যাসিনো চালিয়ে দল পালে এটা জানেন কী করে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওর জনপ্রিয়তা দেখেই বোঝা যায়। ওর মতো জনপ্রিয়তা আর কার আছে? একমাত্র সম্রাটের জনপ্রিয়তা আছে। উত্তরাতে নিখিল নামে একজন আছে, তার তো এত জনপ্রিয়তা নেই।
ক্যাসিনো ব্যবসা চালাতে নিষেধ করতেন কিনা জানতে চাইলে সম্রাটের স্ত্রী বলেন, না। আমার সঙ্গে ওর মিলতো কম। ছেলেপুলে নিয়ে ও চলতে বেশি ভালোবাসত।
তিনি বলেন, সম্রাট অ্যারেস্ট হয়েছে আমি জানি। ওর সঙ্গে আমার দুই বছর ধরে কোনো সম্পর্ক নেই। ও যে ক্যাসিনো গডফাদার তা আমি জানি না। আমি জানি ও যুবলীগ করে, ও ভালো একটা নেতা। উত্তর-দক্ষিণের সবাই জানে ও ভালো একটা নেতা। আর আমিও সেটা জানি। আমার সঙ্গে দুই বছরের দূরত্ব হওয়ায় ও যে এত বড় ক্যাসিনো চালাত তা জানি না।