সময়মতো শিক্ষক না আসায় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট। রৌমারী উপজেলার ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষক উপস্থিত হননি। শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দুষ্টুমিতে ব্যস্ত। প্রায় প্রতিদিনই এমন চিত্র দেখতে দেখতে বিরক্ত গ্রামবাসী। তাই স্কুলের প্রতিটি কক্ষেই তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। এমতাবস্থায় কাকলী ও ফেরদৌসি নামের দু’জন শিক্ষিকা উপস্থিত হন সেখানে। তারা স্কুলে তালা দেখে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তালা খুলে দিতে বলেন। তালা না খুললে নেতাদের দিয়ে হেনস্তা করার হুমকি দেন।
হট্টগোলের একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন স্কুলের সভাপতি আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, টিও এটিও প্রতিমন্ত্রী সকলকে এ স্কুলের দুর্দশার কথা বলেছি। বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছি। কিন্তু কেউ কোনো ব্যবস্থা নেননি।
জানা গেছে, ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩০জন শিক্ষার্থী। শিক্ষক রয়েছেন ৬জন। এদের মধ্যে মাহফুজা বেগম ও শিউলি আক্তার নামের দু’জন শিক্ষক রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। ওইদিন ১১টার পর কাকলী পারভীন ও ফেরদৌসী জাহান নামের দু’জন স্কুলে উপস্থিত হন। প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান ছিলেন মাসিক সমন্বয় সভায় ও সহকারী শিক্ষক আফজাল হোসেন আছেন ইউআরসি ট্রেনিংয়ে।
স্কুলে গ্রামবাসীর তালা ঝোলানোর বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, দু’জন শিক্ষক রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। আমি এবং একজন সহকারী শিক্ষক ট্রেনিংয়ে থাকায় আজ কাকলী ও ফেরদৌসীকে যথাসময়ে স্কুলে আসার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তারা সময়মতো স্কুলে আসেননি। তাই এলাকাবাসী স্কুলে তালা ঝুলিয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে ইউএনও মহোদয় আমাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, স্কুলে তালা ঝোলানোর বিষয়টি জানতে পেরেছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে এ ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।