ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের পূর্বে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণের বিধান রেখে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত খসড়া ‘সরকারি চাকরী আইন, ২০১৮’ অনুমোদিত হওয়া বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দক্ষ, জনবান্ধব, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন নিশ্চিতে খসড়া আইনটির এই বৈষম্যমূলক বিধান বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। একইসাথে খসড়ায় মেধা ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় নিয়োগের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতসহ অন্যান্য ইতিবাচক ধারা অন্তর্ভুক্তির সংবাদকে স্বাগত জানিয়েছে টিআইবি। সোমবার (২০ আগস্ট) রাতে দৈনিকশিক্ষা ডটকমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘যদি গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদটি সঠিক হয় তবে, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত খসড়া ‘সরকারি চাকরী আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতারে পূর্বানুমতি গ্রহণের যে বিধান সন্নিবেশিত হয়েছে তা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের সততা, স্বচ্ছতা, উন্নততর পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন নিশ্চিতের পরিপন্থী ও উদ্বেগজনক হবে।”
ড. জামান আরো বলেন, ‘‘দায়িত্ব পালনজনিত কারণে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা হলে চার্জশিট দেওয়ার আগে গ্রেফতার করতে সরকারের অনুমতি গ্রহণের যে বিধান রাখা হয়েছে তা বৈষম্যমূলক ও সাংবিধানিক চেতনার পরিপন্থি। বিশেষ করে সরকারি খাতে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সরকারি অঙ্গীকারের সাথে ধারাটি একদিকে সাংঘর্ষিক, অন্যদিকে এর মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। তাই ধারাটি বাতিল করতে হবে।”
এছাড়া দেশের বৃহত্তর স্বার্থে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত পরিপূর্ণ খসড়া আইনটি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের পূর্বে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবার জন্য উন্মুক্ত করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ সকল অংশীজনের মতামত গ্রহণের দাবি জানান টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক।