ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের আগে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার বিধান রেখে খসড়া 'সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮' জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আইনটিকে সংবিধান পরিপন্থী ও বৈষম্যমূলক মনে করছে তারা। দক্ষ, জনবান্ধব, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন নিশ্চিতে আইনটি পাস না করার জন্য জাতীয় সংসদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
সোমবার (২২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বিধানটি পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি ও বিশেষ করে সংসদীয় কমিটির প্রতি আহ্বান জানান। বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইনটি এভাবে পাস হলে বর্তমান সরকারের আমলেই প্রণীত ও বাস্তবায়নরত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী হবে। তাছাড়া উল্লিখিত ধারাটি ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৫৪ ধারার সঙ্গেও সরাসরি সাংঘর্ষিক। ওই দুই ধারায় আমলযোগ্য অপরাধে জড়িত থাকলে বা জড়িত থাকার ব্যাপারে মামলা হলে বা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য বা সন্দেহ থাকলেও বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া জাতীয় সংসদে উত্থাপিত খসড়া 'সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮' অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে পূর্বানুমতি গ্রহণের যে বিধান সন্নিবেশিত হয়েছে, তা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের সততা, স্বচ্ছতা, উন্নততর পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন নিশ্চিতের পরিপন্থী ও উদ্বেগজনক হবে।