সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) করতে হবে। যারা ফিটনেটস পরীক্ষায় ফলাফলে নেতিবাচক হবেন, তারা চাকরির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। পর্যায়ক্রমে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রেও এটি প্রয়োগ করা হবে। মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন রোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অ্যাকশান প্লান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ- মাদক নিয়ন্ত্রণে স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা (এক বছর), মধ্য মেয়াদি (দুই বছর) ও দীর্ঘ মেয়াদি (পাঁচ বছর) পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ২৯ জুলাই রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। কর্মশালায় অংশ নেবেন ১৬টি মন্ত্রণালয়ের ৫০ জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। কর্মশালায় অ্যাকশান প্লানের পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের (মাদকদ্রব্য অনুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব আতিকুল হক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অদিপ্তরের সহকারী পরিচালক খুরশিদ আলম। তিনি বলেন, কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই অ্যাকশান প্লানের কার্যক্রম শুরু হবে।
সূত্র জানায়, সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে সব প্রার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় ডোপ টেস্ট করা হবে। কেউ যদি ইয়াবা, গাঁজা ও হেরোইনের মতো মাদক সেবন করে থাকেন- তিনি চাকরি পাবে না। কারণ ডোপ টেস্টে সেটা ধরা পড়বে। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
মাদক আগ্রাসন রোধে অ্যাকশান প্লান: অ্যাকশান প্লানের পরিকল্পনায় বলা হয়, একদিকে নতুন মাদকের আগ্রাসন অন্যদিকে বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তিদের মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলছে। ইয়াবা নামক মরণ নেশার হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে প্রয়োজন মাদক বিরোধী সর্বাত্মক সামাজিক সচেতনতা ও সকল বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সীমিত জনবল ও লজিস্টিকস দিয়ে অধিদফতরের পক্ষে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন রোধ করা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রয়াস। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে দেশকে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষার জন্য সকলের সর্বাত্মক অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে অ্যাকশান প্লান কাজ করবে।