৪১ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েট হয়ে বেরুচ্ছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্র কম থাকায় প্রতি বছর বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর প্রথম পছন্দ বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি চাকরি। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, পছন্দের চাকরি পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে গ্রাজুয়েট শেষ হওয়ার পর অন্তত চার-পাঁচ বছর। অন্যদিকে উচ্চশিক্ষার পাঠ্যসূচির সঙ্গে বিসিএস কিংবা অন্য চাকরিতে প্রবেশের পড়াশোনার বিস্তর পার্থক্যের কারণে দেখা যাচ্ছে, গ্রাজুয়েট হওয়ার পর আবার নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে চাকরির পড়াশোনা। কর্মক্ষেত্রে ঢুকতে ঢুকতে শিক্ষার্থীর বয়স দাঁড়াচ্ছে ২৯-৩০। করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা আজ ঘরে বন্দি। সেশনজটের কবলে উচ্চতর ডিগ্রিধারীরা।
চাকরির বয়স যাদের প্রায় শেষের দিকে, তারা গত চার-পাঁচ মাসে কোনো চাকরির পরীক্ষায় আবেদন করেনি। তাই বলতে পারি—এই করোনা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যে ক্ষতি সাধন করছে, তা পুষিয়ে নিতে এবং বেকারদের মনোবল চাঙা করতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো একান্ত দরকার। বিষয়টির প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক : মেহেদী হাসান রাফি, শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া