সারাদেশের সরকারি হাইস্কুলগুলোতে আর শিক্ষক সংকট থাকছে না। সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার পরে প্রথমবারের মতো সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সরাসরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। শিক্ষক সংকট শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে দুই একদিনের মধ্যে ১৩৭৮ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। এছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষক থেকে সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পর্যন্ত বিভিন্ন পদে ৪২৩ জনের পদোন্নতির তালিকাও প্রায় চূড়ান্ত করেছে কমিশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মে সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা ঘোষণা করেন। দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদায় উন্নীত হওয়ায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা মাউশি থেকে পিএসসিতে চলে যায়। পিএসসিকে শিক্ষক নিয়োগ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু পিএসসি জানিয়েছে, নিয়োগ বিধি গেজেট আকারে জারি ও প্রকাশ না হলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ সম্ভব নয়। ফলে সরকারি হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগ আটকে যায়। শিক্ষক সংকট কাটিয়ে উঠতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিকল্প হিসেবে বিসিএস চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব করে। ৩৫তম বিসিএস থেকে ৭০৭ জন ও ৩৬তম বিসিএস থেকে ৩৪১ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে পিএসসি। মেডিকেল ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে আটকে আছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ দিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের চাকরি বিধামালার গেজেট জারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরাসরি সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা কেটে যায়।
অপর দিকে মামলা জটিলতায় ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ জুন থেকে সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষকদের পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। গত বছরের ৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট পদোন্নতির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করে পদোন্নতি দিতে হবে। তবে অবশ্যই বিএড ডিগ্রি থাকতে হবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী চাকরি বিধিমালায় পদোন্নতির বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও জটিলতা কেটে গেছে। এরপরই গত এপ্রিল মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা সভা করে পদোন্নতির তালিকা পিএসসিতে পাঠিয়েছেন।