সরকারিকরণের দাবিতে অনশনরত ৪ শিক্ষক ডেঙ্গু আক্রান্ত - দৈনিকশিক্ষা

সরকারিকরণের দাবিতে অনশনরত ৪ শিক্ষক ডেঙ্গু আক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বাদপড়া চার হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের দাবিতে শুক্রবার (১২ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দশম দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। ‘বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির’ ব্যানারে দশদিনের অনশনে ৭০ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জন শিক্ষক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। আর ২৭ দিনের অবস্থানে মোট ২১৬ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মামুনর রশিদ খোকন দৈনিক শিক্ষাকে ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানান তিনি।

সমিতির সভাপতি মো. মামুনর রশিদ খোকন দৈনিক শিক্ষাকে জানান, চার হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের দাবিতে গত ৩ জুলাই থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন শিক্ষকরা। গত ২৭ দিন ধরে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছি। বুধবার থেকে আমরণ অনশনে আমিসহ ৭০ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদর মধ্যে ৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত। আর ২৭ দিনের অবস্থানে মোট ২১৬ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। অসুস্থ শিক্ষকদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ৪ হাজার ১৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের ঘোষণা দেয়া না পর্যন্ত শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি চলবে।

তিনি আরও জানান, বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষকরা। ফুটপাতে পলিথিন দিয়ে তার নিচে অনশন করছেন শিক্ষকরা। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ। এখন পর্যন্ত ৪ জন শিক্ষক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। হারুন-অর-রশিদ, বদরুল আলম ফরহাদ, কিবরিয়া ও ইব্রাহীম খলিল।  

গত ৩ জুলাই থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। এর আগে গত ১৬ জুন থেকে বাদপড়া চার হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের দাবিতে ‘বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির’ ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করেছেন শিক্ষকরা। গত ২৩ দিনের আন্দোলনে মোট ১৮১ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন অনশনরত শিক্ষকরা। তবে, গত ১৮ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন করে আর প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের কোনো প্রস্তাব আপাতত বিবেচনা করার সুযোগ নেই।

অনশনরত শিক্ষকরা জানান, সরকারি হয়নি এমন চার হাজার ১৫৯টি স্কুল রয়েছে। মাঠ পর্যায় থেকে প্রকৃত তথ্য না দেয়ায় এসব স্কুল সরকারি হয়নি বলে দাবি করেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা জানান, সরকারিকরণের প্রক্রিয়ার সময় রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করায় তারা বেতন-ভাতা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিফিন থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শিক্ষকরা। তারপরেও এসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন বলে দাবি করেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকরা জানান, তাদের অনেকেরই চাকরিতে প্রবেশের বয়স অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। অধিকাংশ শিক্ষকের অন্যত্র চাকরির আবেদনের সুযোগ নেই। তাই, বাদপড়া ৪ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করে শিক্ষকদের দুরাবস্থা থেকে মুক্তি দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

শিক্ষকরা দাবি করেন, তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ১ হাজার ৩০০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারিকরণের জন্য তথ্য সংগ্রহে মাঠ পর্যায়ে যাচাই বাছাই কমিটিকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু সে বিষয়ে কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। 

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037310123443604