সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের অর্থকষ্ট কমানোর উদ্যোগ - দৈনিকশিক্ষা

সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের অর্থকষ্ট কমানোর উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পদসৃজন ও এডহক নিয়োগে সীমাহীন দেরি করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। আর এ কারণে নিদারুণ অর্থকষ্টে রয়েছেন সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের অধিকাংশ শিক্ষক। এচাড়া কতিপয় অধ্যক্ষের কলোনীযুগের মানসিকতা ও অত্যাচারী মনোভাবও এ অর্থকষ্টের জন্য দায়ী। সরকারি কলেজের ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা রয়েছেন সবচাইতে কষ্টে। তারা না পান সরকারি বেতন না পান প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন। আবার এসব বিষয় নিয়ে শিক্ষকরা অভিযোগ করলেও অখুশী হন অধ্যক্ষরা। আবার কোথাও ইউএনও সাহেবরা নিজেদের মতো বিধান বাস্তবায়ন করছেন। কোনও কোনও কলেজের শিক্ষকরা এখনও এমপিওভুক্ত কিন্তু ছাত্র বেতন নেয়া হয় সরকারি কলেজের ন্যায়। ফলে প্রতিষ্ঠান থেকে খুব একটা আর্থিক সুবিধা পান না তারা। করোনার মহামারিতে এই শিক্ষকদের কষ্ট আরো বেড়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে এ নিয়ে দৈনিক শিক্ষায় একাধিক প্রতিবেদন ও মতামত প্রকাশ হয়েছে। যেগুলো নজরে এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে জানতে চাওয়া হয়েছে সরকারিকৃত কোন কলেজের শিক্ষকরা কি সুবিধা পান আর সরকারি ঘোষণার ফলে কি কি সুবিধা বাতিল হয়েছে। অর্থকষ্টে থাকা শিক্ষকদের নতুন কোনও সুবিধা দিতে হলে কি পদ্ধতিতে দেয়া যেতে পারে ইত্যাদি বিষয়। এরপরই সরকারি কলেজ শিক্ষকদের কি কি আর্থিক সুবিধা চলমান আছে বাদ বাদ পড়েছে তা জানতে চেয়ে অধ্যক্ষদের এসএমএস ও চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আঞ্চলিক পরিচালকদের কাছে ২৬ এপ্রিলের মধ্যে এসব তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। অধিদপ্তর ও শিক্ষকরা  দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে তিনশতাধিক কলেজ সরকারি করা হয়। এসব কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেসরকারি আমলের মতোই এমপিও সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু কিছু কিছু কলেজর ননএমপিও শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে। আবার অনেক কলেজে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সুবিধা দেয়া হতো। সেসব অর্থনৈতিক সুবিধাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, কোন কোন কলেজ অর্থনৈতিক সুবিধা দিচ্ছে কোন কোন কলেজ অর্থনৈতিক সুবিধা দিচ্ছে না সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। 

সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের নেতারা বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সরকারি কলেজবিহীন উপজেলা সদরে  একটি করে কলেজ সরকারি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি হলেও সরকারিকরণের সুবিধা পাচ্ছেন না কেউই। কলেজ সরকারি হলেও শিক্ষকরা বেসরকারি। পদসৃজন ও অ্যাডহক নিয়োগ আটকে রেখেছে শিক্ষা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কতিপয় কর্মকর্তা। তারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে কৗশলে আটকে রেখেছেন বছরের পর বছর। ঠিকমতো কাজ হলে আজকে আমাদের এই সমস্যার সম্মূখীন হতে হতো না।  

সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মো: ফারুক হোসেন ও শাহাবুদ্দিন বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন সদ্য সরকারিকৃত কলেজের ননএমপিও শিক্ষকরা। তারা পাচ্ছে না কলেজ থেকে কোন বেতন-ভাতা। লোক লজ্জার ভয়ে যেতে পারছে না লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ গ্রহণ করতে। সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে সরকারিকৃত কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এমপিও পাচ্ছেন। কিন্তু সরকারিকৃত কলেজের ননএমপিও শিক্ষকদের বেলায় রয়েছে ভীষণ অব্যবস্থাপনা। 

নেতারা আরও বলন, নিয়োগের শর্তানুসারে ননএমপিও শিক্ষকদের কলেজ ফান্ড থেকে শতভাগ বেতন ভাতা প্রদানের কথা। কলেজে পর্যাপ্ত ফান্ড থাকা সত্ত্বেও অনেক প্রতিষ্ঠান তা মানছে না। কোন কোন প্রতিষ্ঠান চালু রাখলেও অনেক প্রতিষ্ঠান ননএমপিও শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে।  করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান পরিস্থিতিতে তারা পরছে চরম বিপাকে। দিন কাটছে অনাহারে অর্ধাহারে। 

এ বিষয়ে সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অধিকাংশ কলেজের নন এমপিও শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কলেজ থেকে বাড়ি ভাড়া অন্যান্য খাতে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সুবিধা পেতেন। সেগুলো অনেক কলেজ বন্ধ করেছে। করোনার ক্রান্তিকালে জনজীবন স্থবির। নন এমপিও শিক্ষকরা বিপাকে পড়েছেন।

ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0065610408782959