সরকারিকৃত কলেজগুলোর পদসৃজন ও এডহক নিয়োগে সীমাহীন দেরি করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। আর এ কারণে নিদারুণ অর্থকষ্টে রয়েছেন সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের অধিকাংশ শিক্ষক। এছাড়া কতিপয় অধ্যক্ষের কলোনীযুগের মানসিকতা ও অত্যাচারী মনোভাবও এ অর্থকষ্টের জন্য দায়ী। সরকারি কলেজের ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা রয়েছেন সবচাইতে কষ্টে। গত মাসে তাদের নিয়ে দৈনিক শিক্ষায় একাধিক প্রতিবেদন ও মতামত প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনগুলো আমলে নিয়ে সরকারিকৃত কলেজের নন এমপিও শিক্ষকদের ২ মাসের বেতন কলেজের ফান্ড থেকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, কলেজের সাধারণ তহবিল থেকে ননএমপিও শিক্ষকদের এপ্রিল ও মাসের বেতন দিতে বলা হয়েছে। তবে সাধারণ তহবিলে টাকা না থাকলে এফডিআর ভাঙানো যাবে। কলেজের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারির সময় নন-এমপিও শিক্ষকরা যে বেতন পেয়ে হারেই দুই মাসের বেতন দিতে হবে। এই দুই মাসের টাকা যখন পুরোপুরি সরকারি হবে তখন বেতন থেকে সমন্বয় করা হবে। একজন উপসচিবের স্বাক্ষরে আদেশটি জারি হয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে তিনশতাধিক কলেজ সরকারি করা হয়। এসব কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেসরকারি আমলের মতোই এমপিও সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু কিছু কিছু কলেজর ননএমপিও শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে। আবার অনেক কলেজে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সুবিধা দেয়া হতো। সেসব অর্থনৈতিক সুবিধাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মো: ফারুক হোসেন ও শাহাবুদ্দিন বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন সদ্য সরকারিকৃত কলেজের ননএমপিও শিক্ষকরা। তারা পাচ্ছে না কলেজ থেকে কোন বেতন-ভাতা। লোক লজ্জার ভয়ে যেতে পারছে না লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ গ্রহণ করতে। সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে সরকারিকৃত কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এমপিও পাচ্ছেন। কিন্তু সরকারিকৃত কলেজের ননএমপিও শিক্ষকদের বেলায় রয়েছে ভীষণ অব্যবস্থাপনা।