সরকারিককৃত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য আত্তীকরণ বিধিমালা প্রণয়ন হচ্ছে। “প্রস্তাবিত সরকারিকৃত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা,২০১৮’’ কার্যকরের তারিখ বা তৎপরবর্তী সরকারিকৃত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আত্তীকরণ বিধিমালার বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রস্তাবিত বিধিমালা অনুযায়ী, সরকারিকৃত বিদ্যালয় বলতে এই বিধিমালা কার্যকরের তারিখে বা তৎপরবর্তী সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সরকারি হিসাবে ঘোষিত এমন নির্বাচিত বেসরকারি বিদ্যালয়, যার পরিচালনা পর্ষদ বিদ্যালয় পরিচালনার কর্তৃত্বসহ বিদ্যালয়ের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের নির্দেশ অনুসারে সরকারের অনুকূলে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল মূলে হস্তান্তর করেছে। সরকার বিদ্যালয়টির দলিল গ্রহণ করেছে এমন বিদ্যালয়কে বুঝাবে। আত্তীকৃত শিক্ষক কর্মচারী বলতে চাকরি স্থায়ীকৃত কোন শিক্ষক-কর্মচারীকে বোঝাবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আবদুল মান্নান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, সরকারিকৃত হাইস্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণ সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করা হবে। এ ব্যাপারে কাজ শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮ চূড়ান্ত করতে পারবো।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সর্বশেষ (গত ১২ মার্চ) তথ্য অনুযায়ী ৩২৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেয়েছে। এর মধ্যে পরিদর্শনকৃত প্রতিষ্ঠান ৩০৬টি। হস্তান্তর দলিল সম্পন্ন হয়েছে ১১৩ প্রতিষ্ঠানের। জিও জারি হয়েছে ৩৫ প্রতিষ্ঠানের। শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ করা হয়েছে ১২ প্রতিষ্ঠানের। ১৭৬ প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।