সরকারের তরফে শিক্ষকদের অনশন ভাঙানোর উদ্যোগ - দৈনিকশিক্ষা

সরকারের তরফে শিক্ষকদের অনশন ভাঙানোর উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সরকারের তরফে অনশন ভাঙ্গানোর উদ্যোগ নেয়ার হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অনশনরত  শিক্ষকদের অনশন ভাঙ্গাতে পারেন।

এমপিওর দাবিতে তীব্র শীত উপেক্ষা করে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৬ষ্ঠ দিনের অনশনসহ টানা ১১ দিনের আন্দোলনে ঠাণ্ডা ও ক্ষুধায় একশোর বেশি শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রেসক্লাবের সামনে ফুটপাতে স্যালাইন লাগিয়ে অনশন কর্মসূচিতে অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৮ থেকে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করে।

ইতোপূর্বে সংগঠনের পক্ষ থেকে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে দিবারাত্রি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। এরপর গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার দৈনিকশিক্ষাকে জানান, দাবি আদায় না হলে অনশনস্থলেই মরবো। আমরা এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চাই। এজন্য শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করিনি। ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চলবে।

 

উল্লেখ্য, সরকারি সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষরা এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রথম আন্দোলন শুরু করেন ২০১৩ সালে। ওই বছরের ১০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশ পিপার স্প্রে ব্যবহার করে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর একই বছরের ১৫ জানুয়ারি ন্যাম ভবনের সামনে অনশন কর্মসূচি করতে গেলে মানিক মিয়া এভিনিউর পশ্চিম পাশে পুলিশ বাধা দেয়। সেই বাধা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। একপর্যায়ে পিছু হটেন শিক্ষকরা। সোবহানবাগের প্রিন্স প্লাজার সামনে অবস্থান করতে চাইলে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। এরপর তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এসে অবস্থান করে। শিক্ষামন্ত্রী এই ঘটনার পর শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ৩ মাসের মধ্যে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন।এই আশ্বাসে পেরিয়ে যায় দুই বছর।

এরপর ২০১৫ সালের অক্টোবরে প্রথমে শহীদ মিনারে সমাবেশ এবং পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন পালন করে ‘নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন’। সমাবেশ থেকে বলা হয়, সুস্পষ্ট ঘোষণা না এলে এই আন্দোলন চলবে। সরকার আবারও এমপিওভুক্তির আশ্বাস দেয়। ওই আশ্বাসের পর কেটে যায় একবছর। এরপর ২০১৬ সালে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় আবার রাজপথে নামেন শিক্ষকরা। ওই সময় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অন্তর্ভুক্তি হওয়ার আশ্বাস দেয় সরকার। ওই আশ্বাসের পর শিক্ষকরা ২০১৭ সালের জানুয়ারি আবার অবস্থান নেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। প্রায় ২৮ দিন অবস্থান করার পর শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে তারা ফিরে যান বিদ্যালয়ে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরেও এমপিও প্রসঙ্গ না আসার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষক সংগঠনের নেতারা।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035579204559326