সরকারের দায়, আমাদের ব্যর্থতা - দৈনিকশিক্ষা

সরকারের দায়, আমাদের ব্যর্থতা

অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ |

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ আলোচনায় এসেছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের ওপর বর্ধিত হারে আবগারি শুল্ক আরোপ, গার্মেন্ট বাদে কর্পোরেট কর পূর্বাবস্থায় রাখা, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থীর অভিভাবকের আয়কর শনাক্তকরণ টিআইএন রাখার শর্ত। জিডিপি অর্জন নিয়ে সংশয় এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির অপ্রতুল উদ্যোগসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ। বাজেটে শিক্ষার অবস্থান মূল্যায়ন নিয়ে আলোচনা এখন পর্যন্ত খুব একটা হয়নি। তবে কখনও ধর্ম, কখনও সংস্কৃতি অথবা বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে মিলিয়ে শিক্ষায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেখানোর প্রবণতার সঙ্গে শিক্ষায় বরাদ্দের ক্রমহ্রাসমানতা আলোচনায় আছে।

একথা শতভাগ সত্য, বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ হ্রাস অথবা আশানুরূপ না হওয়ার দায় সরকার এড়াতে পারে না। এখন আত্মজিজ্ঞাসার সময় এসেছে, এতে কি আমাদেরও কোনো দায় নেই? আমাদের বলতে আমি শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, শাণিত বুদ্ধি-বিবেকবান, শিক্ষানুরাগী, সচেতন বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, শিক্ষক সংগঠন এবং সুশীল সমাজকে বোঝাতে চাচ্ছি। নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েই বলব, আমরা কেউ দায় এড়াতে পারি না। দলীয় অবস্থানের ঊর্ধ্বে জাতীয় নেতৃত্বের ভূমিকা, বিশেষ করে বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ নিয়ে তাদের নিস্পৃহতা অথবা ক্ষমতায় থাকলে একরকম, ক্ষমতার বাইরে অন্যরকম অবস্থান নিয়েও আলোচনা-সমালোচনার অবকাশ আছে। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে শিক্ষা অথবা জাতীয় উন্নয়ন নিয়ে সুনির্দিষ্ট হোমওয়ার্ক করতে তারা অভ্যস্ত নন।

বাজেট বক্তৃতায় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কতিপয় দিক

অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার কিছু অংশ উল্লেখ্য। ‘টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য। এর জন্য মানবসম্পদ উন্নয়নের বিকল্প নেই। শিক্ষাকে দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের অন্যতম প্রধান কৌশল হিসেবে বিবেচনা করে এ খাতকে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে। দিন বদলের সনদ ও রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতি আমরা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করছি। … পরবর্তী অগ্রাধিকার হচ্ছে প্রশিক্ষিত শিক্ষক গড়ে তোলা। এতদুদ্দেশ্যে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা অনবরত উন্নীত হচ্ছে। আমরা এ পর্যন্ত ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেছি। এর ফলে দেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং ও রিসোর্স সেন্টার স্থাপন, সরকারি বিদ্যালয় নেই এমন ৩১৫টি উপজেলার ২৯৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়কে মডেল বিদ্যালয়ে রূপান্তর, ৩ হাজার ৫৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব এবং ২৩ হাজার ৩৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাসা ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১ হাজার ৫০০টি বেসরকারি কলেজ, ৩ হাজারটি বেসরকারি স্কুল ও ১ হাজারটি বেসরকারি মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ে প্রায় ৩৮ লাখ শিক্ষার্থীকে ৬৭৫ কোটি ৩৮৭ লাখ টাকা উপবৃত্তি ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১২০টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৮৫টি বেসরকারি কলেজ সরকারিকরণের কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। সার্বিক শিক্ষা খাতের মানোন্নয়নে অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ চলমান কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রাখব। শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, উপবৃত্তি প্রদানসহ চলমান অন্যান্য কার্যক্রম আমরা শুধু অব্যাহত রাখছি না, বরং প্রসারিতও করছি। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৫টি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রণীত হয়েছে এবং ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো স্থাপনে প্রকল্প অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে। বিজ্ঞানভিত্তিক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাকে আমরা অব্যাহতভাবে উৎসাহ দিতে চাই।’

অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতা ও বাস্তবতা

জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি-পরবর্তী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে সরকারের লক্ষণীয় উদ্যোগ ও কর্মসূচি আছে একথা সত্য। কিন্তু শিক্ষাকে দারিদ্র্য বিমোচনে ও উন্নয়নের অন্যতম প্রধান কৌশল হিসেবে সরকার বিবেচনা করে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। ২০১৫ সালে আইএলও প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রাথমিক অথবা তার চেয়ে কম শিক্ষিতদের মধ্যে বেকার ৫.৩ শতাংশ, মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষিতের ক্ষেত্রে এ হার ১২.৩ শতাংশ এবং মাধ্যমিক-পরবর্তী উচ্চ শিক্ষাস্তরে শিক্ষিতদের মধ্যে তা ২৬.১ শতাংশ। অর্থাৎ এসব স্তরে শিক্ষা সমাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান শিক্ষাগত যোগ্যতা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ক্রমহ্রাসমানতায় পর্যবসিত হচ্ছে। এর সরল অর্থ, আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা কর্মসংস্থান অথবা শ্রম বাজারের উপযোগিতার সঙ্গে সমন্বয় রাখতে পারছে না। অর্থমন্ত্রী প্রশিক্ষিত শিক্ষকের কথা বলেছেন। বাস্তব চিত্র হল, দেশে প্রাথমিক স্তরে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হলেও অর্ধেকের বেশি শিক্ষক এ পদ্ধতির বিষয়ে কার্যকরভাবে বোঝেন না। এর মধ্যে ১৩ শতাংশ একেবারেই বোঝেন না। ৪২ শতাংশ অল্পস্বল্প বোঝেন। বোঝেন মাত্র ৮৫ শতাংশ শিক্ষক। আবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশের প্রায় ৪১ শতাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্নপত্র তৈরি করতে পারে না।

অর্থমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থাগুলোর তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। একেক সংস্থার তথ্য একেক ধরনের হচ্ছে। এক্ষেত্রে বড় ধরনের উন্নতি করা দরকার। উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করা হয়েছে : ‘সর্বপর্যায়ের শিক্ষাসংক্রান্ত সব তথ্য একত্র করে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক একটি সমৃদ্ধ তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হবে এবং সংশ্লিষ্ট সবাই যাতে সহজে তা ব্যবহার করার সুযোগ পায় সেরকম ব্যবস্থা করা হবে। এসব তথ্য হালনাগাদ রাখার ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (ইঅঘইঊওঝ) এ লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি, নেটওয়ার্কিং, অর্থ ও জনবল নিয়ে আরও শক্তিশালী করা যায়। তবে কার্যকর তদারকির মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম যাতে দক্ষতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। বেসরকারি উদ্যোগেও শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার সৃষ্টি উৎসাহিত করা হবে।’ কিন্তু বাস্তবতা হল, এক্ষেত্রে ১ শতাংশ অগ্রগতিও নেই। এনজিও অথবা কোনো বেসরকারি সংস্থাও এগিয়ে আসেনি। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বিজ্ঞানভিত্তিক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাকে উৎসাহিত করার কথা বলেছেন। কিন্তু বাস্তব চিত্র হল ঢাকা মহানগরসহ দেশের খুব কম স্কুল-কলেজেই বিজ্ঞানের ব্যবহারিক শিক্ষা হয়ে থাকে। ব্যবহারিক পরীক্ষার কথা নাই বা বললাম। বিজ্ঞানের ব্যবহারিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ প্রতি থানা/উপজেলায় সরকারি অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞানাগার প্রতিষ্ঠা করে পালাক্রমে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আবশ্যিক ব্যবহারিক ক্লাসের ব্যবস্থা করার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত সে লক্ষ্যে সরকারের কোনো কর্মসূচি নেই। এখানে বলতে হয়, শিক্ষানীতি-২০১০ দীর্ঘ সাত বছর আগে প্রণীত হলেও এটি বাস্তবায়নের জন্য গত ছয়-সাতটি বাজেটে সুনির্দিষ্ট কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এবারও কোনো নির্দেশনা নেই। বলা হচ্ছে, শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চাহিদার কাছাকাছি এবারের বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাহলে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা এবং যোগ্যতার সব শর্ত পূরণ করেও যারা আজ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হতে পারেনি, বাজেটে তাদের উল্লেখ নেই কেন? কিসের ভিত্তিতে চাহিদা দেয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে?

শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার, এনজিও ও শিক্ষক সংগঠন

শিক্ষার মান উন্নয়নের কথা এখন শুধু সরকার থেকে বলা হচ্ছে না, শিক্ষা নিয়ে কাজ করে এমন দেশি-বিদেশি এনজিও এক্ষেত্রে সোচ্চার। তবে সরকার ও এনজিও উভয়ে শিক্ষকদের মান মর্যাদার প্রসঙ্গে উচ্চকণ্ঠ। কিন্তু সরকার শিক্ষকদের প্রাপ্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয় কৃপণ অথবা দীর্ঘসূত্রী। এনজিওগুলো শিক্ষকদের আর্থিক দাবি সমর্থন করে। কিন্তু তাদের অগ্রাধিকারে নেই। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার উন্নয়নে সরকার ও এনজিওগুলোর পাশাপাশি শিক্ষক সংগঠনগুলো এখন তাদের অবস্থানের অপরিহার্যতা তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে। এর উদ্দেশ্য সরকার ও নীতি নির্ধারকদের কাছে যেন প্রতিভাত হয়, শিক্ষকদের কার্যকর অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো শিক্ষা উন্নয়ন নীতি বা কর্মসূচি সফল হতে পারে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায়ও প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্ব এবং শিক্ষক ও অভিভাবকের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। জনপ্রতিনিধি অথবা অন্যরা প্রয়োজনে পরামর্শ দিতে পারবেন।

পরিশেষে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, শিক্ষায় যে বরাদ্দ বছরের পর বছর কমে যায় তার কারণ কি এই- সরকার আসলে বিশ্বাস করে না যে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ালে তা দিয়ে কর্মসংস্থান বাড়বে অথবা জাতীয় উন্নয়ন বেগবান হবে? অন্যদিকে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরাও যে কর্মসংস্থান নিশ্চিতের বিষয়ে এমন শিক্ষা কর্মসূচিতে আস্থাবান, তাও বলা কঠিন। এজন্য ধ্বনি অথবা বক্তৃতা-বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ হয়ে যায় শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়টি। বাজেটের আগে-পরে ঘটা করে সভা-সেমিনার, সংবাদ সম্মেলন এবং পেশাজীবীদের একটা অংশের মৌসুমি আন্দোলন কোনো ফল দিচ্ছে না। সময় এসেছে সরকারের ভূমিকার সমালোচনার পাশাপাশি আমাদের সমষ্টিগত ব্যর্থতাকে স্বীকার করে নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া।

শিক্ষায় বরাদ্দ ও আরও কয়েকটি বিষয় ছাড়া অর্থমন্ত্রীর উপস্থাপিত বাজেটে যে অনেক ইতিবাচক দিক আছে তা মানতে হবে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ যথার্থই বলেছেন, বাজেট যেভাবে বিন্যাস করা হয়েছে অর্থমন্ত্রী তা আগে থেকেই জানিয়ে আসছিলেন। অর্থাৎ এই বাজেটে যা দেখা গেছে, মোটা দাগে তা অর্থমন্ত্রীর আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যাশিত ছিল। তবে একথা বলতে হবে, বাজেট বাস্তবায়নে শেষের দিকে এসে তাড়াহুড়া করে অর্থ ব্যয় করা হয়। বাজেটে চলমান কিছু প্রকল্প থাকে এবং থাকে নতুন কিছু প্রকল্পও। নতুন প্রকল্প তৈরি করতে সময় নেয়া হয় এবং অর্থায়ন পেতে সময় লাগে। বছর শেষ হয়ে আসে কিন্তু কাজ শুরু হয় না। চলমান প্রকল্পগুলোতেও নানা ধরনের দীর্ঘসূত্রতা থাকে। প্রতিবছরই লক্ষ্য করা যায়, অর্জন আরও বেশি হতে পারত, যদি এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যেত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো অসঙ্গতি থাকলে সংসদে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অনেকেই মনে করেন সে পর্যন্ত অপেক্ষা করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ : শিক্ষক নেতা ও শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0087430477142334