সরকারের সাড়া নেই ননএমপিও শিক্ষকদের অনশনে (ভিডিও) - দৈনিকশিক্ষা

সরকারের সাড়া নেই ননএমপিও শিক্ষকদের অনশনে (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের  আমরণ অনশন কর্মসূচির আজ ১২তম দিন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উত্তর পাশের সড়কে তারা এমপিওভুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করছেন। ১২ দিন ধরে রাজপথে অনশন করলেও সরকারের দিক থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাননি তারা। এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ১০ জুন থেকে লাগাতার অবস্থান করে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সরকার থেকে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় ২৫ জুন থেকে তাঁরা আমরণ অনশন করেন। এরই মধ্যে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে ৫০ জন শিক্ষক-কর্মচারী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩ জন শিক্ষক- কর্মচারী চিকিৎসা নিয়ে আবার কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।

ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর যে প্রস্তাব দিয়েছি, সেটা যদি  প্রধানমন্ত্রী দেখেন, তাহলে দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে তাঁরা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। এমপিওভুক্তির বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি এভাবেই চলবে বলে জানান তিনি।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভুষণ রায় দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ৫ জানুয়ারির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে গত ১০ জুন আমরা রাজপথে বসে আছি। আজকে ২৭তম দিন এবং আমরণ অনশনের আজকে  ১২তম দিন চলছে। এখন পর্যন্ত আমাদের দাবির ব্যাপারে সরকার থেকে কোন রকম ঘোষণা আসেনি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যেখানে আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু এই দাবি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নীতিমালার নামে কেন অর্থমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী একটার পর একটা বেড়াজালে আমাদেরকে আটকানো চেষ্টা করছে। এটা আমার বোধগম্য নয়। 

অনশনে অংশ  নেয়া শিক্ষকরা বলেন, সারা দেশে প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর ৮০ হাজার শিক্ষক কর্মচারী বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে আসছেন। তারা পরিবারের সদস্যদের ভরণ-পোষণ, চিকিৎসা দিতে না পেরে নিজেরাই বোঝা হয়ে গেছেন। অপরদিকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদাও নেই। একটি স্বাধীন দেশে জাতি গড়ার কারিগররা সরকারের অবিবেচক সিদ্ধান্তের কারণে তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অথচ রাষ্ট্র নীরব, মনে হচ্ছে এ শিক্ষকদের প্রতি রাষ্ট্রের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। 

বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন প্রায় ৫ লাখ। তাদের বেতন-ভাতা বাবদ মাসে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা। এর বাইরে স্বীকৃতি পাওয়া ননএমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। স্বীকৃতির বাইরে আছে ২ হাজারেরও বেশি ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা  অধিদপ্তরের সূত্রমতে, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হলে এবং ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করলে মাসে আরও প্রায় দেড়শ কোটি টাকা খরচ হবে। যদিও সরকারের পরিকল্পনা হলো হাজারখানেক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা।

নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034248828887939