বর্তমান নিয়োগ বিধি অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক একই যোগ্যতা ও একই প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করেও শুধু পদের কারণে তিনধাপ বেতন স্কেলের পার্থক্য কি বৈষম্য নয়? বঙ্গবন্ধুর সময়ে পদ দুটি ছিল বৈষম্য শূন্য। বর্তমান সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরুতে প্রধানশিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মধ্যে মূল বেতনের পার্থক্য ১১৩০০-৯৭০০=১৬০০। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে পার্থক্য দাঁড়াবে ১৬০০০-১১৩০০=৪৭০০ টাকা। বৈষম্য কমার বদলে যে বাড়বে তা জলের মতো পরিষ্কার। একটা সিঁড়িতে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে ওপরে ওঠার ইচ্ছাটা চলে যায়। আর সহকারী শিক্ষকবৃন্দ যদি ওপরে উঠার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেন তবে কি আগামীদিনের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব? সুতরাং শতভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে সহকারীদের জন্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ রাখা উচিত। নিরসন হোক সমস্ত বৈষম্যের। আর ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুরু হোক মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তর হওয়ার নতুন অধ্যায়ের।
লেখক: হুমায়ুন কবির, সহকারী শিক্ষক, সদর, ময়মনসিংহ