সহপাঠীদের চোখের জল ও শিক্ষকদের অশ্রুসিক্ত ভালবাসায় অন্তিম বিদায় ঘটেছে স্কুলছাত্র রাজুর। বৃহস্পতিবার (১৭জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ময়মনসিংহের ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর জানাজা সম্পন্ন হয় ।
বুধবারও নিয়মিত স্কুলের ক্লাসে বন্ধুদের সাথে হাসি-খুশি হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ছিল ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণি বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র আরিফুল ইসলাম রাজু। রাতে জ্বর ও পেটের ব্যাথা অনুভব হলে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাসায় নেয়া হলে রাত ২টার দিকে আবারো অসুস্থতা দেখা দেয়। রাতেই দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ভোর ৪টার দিকে রাজুর মৃত্যু ঘটে।
বৃহস্পতিবার সকালে খবর ছড়িয়ে পড়লে তার দক্ষিন রাংচাপড়া গ্রামের বাড়িতে আত্মীয় স্বজন,শুভাকাঙ্খীদের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা ছুটে যায়। বেলা ১১টায় ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজা নামাজে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রাজুর এক সহপাঠী উপস্থিত মুসুল্লীদের উদ্যেশ্যে বলেন,মারা যাওয়ার সংবাদ এক ফোনে কাউকেই বিশ্বাস করাতে পারিনি। সবাই মনে করছে ঠাট্টা করছি। কাউকে ৩/৪ বার করে বলতে হয়েছে আবার কাউকে তার চেয়েও বেশি।
প্রধান শিক্ষক মো. আশেক উল্লাহ চৌধুরী দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, এ মৃত্যুর সান্তনা দেয়ার ভাষা জানা নেই। আল্লাহ পাক তার পরিবারকে ধৈর্য্য ধারণের ক্ষমতা দিন। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে চলাফেরাসহ স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের কাছে ছেলের জন্য দোয়া চান রাজুর পিতা ছাইদুল ইসলাম। এ ছাড়াও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ,শিক্ষকমন্ডলী,নিহতের স্বজনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানাজা নামাজে অংশ নেন।