ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন লেখক, শিক্ষক, শিল্পী, আলোকচিত্রী এবং সংস্কৃতিকর্মীরা। যৌথ বিবৃতিতে তারা দাবি করেছেন, হয়রানির উদ্দেশ্যে কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। তারা মামলাগুলো প্রত্যাহার করে কাজলকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো ৭২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতিতে বলা হয়, নিখোঁজ হওয়ার পর তারা সাংবাদিক কাজলের ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি ফিরে এলেও তাকে আটক রাখা হয় অনুপ্রবেশের মামলায়। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। পুলিশ কাস্টডিতে থাকার ৫২ দিন পর আগামীকাল রোববার তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে শোনা যাচ্ছে। একই সঙ্গে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলেও সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে।
কাজলের মুক্তির অপেক্ষায় আছেন জানিয়ে তারা বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সাংবিধানিক অধিকার হওয়া সত্ত্ব্বেও মতপ্রকাশের 'অপরাধে' একজন আলোকচিত্রীকে কারাবন্দি জীবনযাপন করতে হচ্ছে, এটা নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের জন্য উদ্বেগের। কাজলকে বন্দি রাখার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের পরিবেশ রুদ্ধ করা হয়েছে। বিচারহীনতা এবং ভয়ের সংস্কৃতিতে এ ধরনের অন্যায্য তৎপরতা চলছেই।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বৃত্ত আর্টস ট্রাস্টের চেয়ারপারসন খুশী কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস, যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড ভ্যালি স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আজফাল হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, শিক্ষক ও নাট্যকর্মী সামিনা লুৎফা, শিল্পী তৈয়বা বেগম লিপি, নাট্যকর্মী বন্যা মির্জা প্রমুখ।