প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সতর্ক সাইরেনের শব্দে কেঁপে উঠছে পটুয়াখালীর বাউফলের চরভূমি। ইতোমধ্যে চর ও তেঁতুলিয়া নদীপাড় এলাকার স্কুল-কলেজ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতর কথা জানানো হয়েছে স্থানীয়দের। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই চরাঞ্চলসহ উপজেলার সর্বত্র গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আজ শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত আরও বেড়েছে।
এদিকে, চর ও নিম্নাঞ্চলের লোকজনের জরুরি অবস্থান নেয়ার সুবিধার্থে ইতোমধ্যে উপজেলার মোট ১৪০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাইরেন বাজিয়ে ও মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে সর্বসাধারণকে। স্থানীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজন দফায় দফায় মিটিং করে দূর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি সারছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাস জানান, পরিস্থিতির সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। পিআইও অফিসের কন্টোল রুমের সঙ্গে (০১৭৪৬৬১২৬২৫, ০১৭১০০০৬২১৬, ০১৭৪৯৪৯৬৯৫৫) যোগাযোগ রেখে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি জানাতে বলা হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টারগুলো আপদকালীন সময়ে সর্বসাধারণের সহজ আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে টেলিভিশন ও সংবাদ মাধ্যমের আবহাওয়া বুলেটিনের ওপর।
এদিকে, স্বাভাবিকের চেয়ে তেঁতুলিয়া নদীর জোয়ারের পানির চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় জেলেরা। স্থানীয়রা জানান, টেলিভিশন, মোবাইলফোনসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের খবরে চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। সাধারণ মানুষ টেলিভিশনে আবহাওয়ার খবরের আপডেট জানতে ভিড় করছে চায়ের দোকানসহ হোটেল-রেস্টুরেন্টেগুলোতে।
এছাড়া, আগেভাগে চর ও নদী পাড়ের ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধানদী ফাজিল মাদরাসা, নিমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাঁতেরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাকলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন ধানদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্দ্রদ্বীপের চরওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরওয়াডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরকালাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ চরএলাকা ও তেঁতুলিয়া নদীপাড়ের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।