‘এটা শকিং। আমার কাছে বিশ্বাসই হচ্ছে না। প্লেয়ারদের কাছ থেকে এ রকম কিছু হতে পারে। এর পেছনে কয়েকটা কারণ রয়েছে।’- মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিসিবিতে ডাকা জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বিসিবি সভাপতি বলেন, প্রথমত, খেলোয়াড়দের সাথে আমার একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। সেই সাথে আমার মতো কেউ এত যোগাযোগ মেইনটেন করে না। তাদের যখন যে সমস্যা সেটা আমার কাছে শেয়ার করেন। এবং এটা স্বাভাবিক। আমি চেষ্টা করি সমাধান করতে। আমি আসার আগে তাদের বেতন ছিল দেড় লাখ টাকা। সেটাকে বাড়িয়ে করা হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। গত শ্রীলঙ্কা সফর শেষে বিমানবন্দরে তামিম-মাশরাফি বেতন বাড়ানোর দাবি জানান। পরে সেই বেতন চার লাখ টাকা করা হয়েছে। ক্রিকেটাররা আমাদের কাছে কোনো কিছু চেয়েছে, সেটা আমরা দেইনি এমন কোন ঘটনা আছে? নট এ সিঙ্গেল।
তিনি আরও বলেন, ২৪ কোটি টাকা বোনাস দেয়া হয়েছে ১৫ ক্রিকেটারকে। শুধু তাদের পারফরমেন্সের জন্য। এটা কি কখনো কেউ দেয়। কি পরিমাণ সুযোগ সুবিধা প্রতিদিন বাড়ানো হচ্ছে। আর টাকার জন্য তারা খেলা বন্ধ করে দেবে, এটা আমার বিশ্বাস হয় না। যদি তারা আমাদের কাছে বলতো, আমরা রাজি হইনি, কোনো মত পার্থক্য আছে, তাহলে বুঝতাম। কোনোদিন বলেনি, জানি না। ওদের সাথে রেগুলার যোগাযোগ রাখি, কাউকে কিছুই বলেনি। এটা-তো আশ্চর্য ব্যাপার। কাজেই অবাক না হওয়ার কারণ নেই।
এছাড়াও তাদের প্রথম দাবির সাথে বিসিবির কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে আমার কিছু করার নেই বলে জানান বিসিবি প্রধান। প্রথম দাবি হিসেবে কোয়াব (ক্রিকেটার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ)-এর প্রেসিডেন্ট বা সেক্রেটারি নির্বাচনের ভার ক্রিকেটারদের হাতে দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা।