সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে সরকারের পদক্ষেপ ও কোভিড-১৯ - দৈনিকশিক্ষা

সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে সরকারের পদক্ষেপ ও কোভিড-১৯

রবীন্দ্রনাথ রায়: |

সাক্ষরতা শিক্ষার প্রথম সোপান। জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি ও প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নের এ বিশ্বে সাক্ষরতার বিকল্প নেই। যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত ও ক্ষমতাবান। সাক্ষরতা অর্জনের মাধ্যমেÑক. মানুষের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়; খ. মানুষ সচেতন হয়; গ. স্বনির্ভর হয়; ঘ. দেশে জন্মহার কমে; ঙ. স্বাস্থ্য সূচকের উন্নয়ন ঘটে; চ. গড় আয়ু বৃদ্ধি পায়; এবং ছ. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে। সাক্ষরতার পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বল্প সময়ের মধ্যে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নব্যসাক্ষরদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। আর সে লক্ষ্যেই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা এবং শিক্ষার্থীদের পছন্দের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ট্রেড নির্বাচন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। এজন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় দেশব্যাপী সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমেই কেবল আমাদের জনসংখ্যাবহুল দেশকে জনসম্পদে পরিণত করা সম্ভব হবে। তাহলেই শিক্ষিত, দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল উন্নত জাতি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে সমাদৃত হবে।

‘কভিড-১৯ সংকট: সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। ১৯৬৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর  আরানের রাজধানী তেহরানে বিভিন্ন দেশের শিক্ষা মন্ত্রীদের সম্মেলনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। তখন থেকে প্রতিবছর সারা বিশ্বে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের প্রবেশদ্বার হচ্ছে সাক্ষরতা। সাক্ষরতার সংজ্ঞা সাক্ষর শব্দের আভিধানিক অর্থ অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি। এখন সাধারণ অর্থে সাক্ষর বলতে মাতৃভাষায় পড়া, লেখা ও হিসাব করার দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে মনে করা হয়।

বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে এবং সে লক্ষ্যে সাধ্যমতো সবকিছুই করে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করা ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা বাংলাদেশ এরইমধ্যে অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আর এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে হলে জাতিসংঘের নির্ধারিত নীতিমালার অর্থাৎ  দ্য হিউম্যান ইনডিকেটর’স ইন্ডিকেটরগগুলো যেমন শিক্ষা, গড় আয়ু এবং মাথাপিছু আয় বাড়াতে হবে। সেই নীতিমালার অন্যতম শর্ত হচ্ছে দেশের জনগণকে শতভাগ শিক্ষিত হতে হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এখনও ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ জনগণ নিরক্ষর। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ ঘোষণায় এটি একটি বড়ো বাধা। এই বাধাকে অতিক্রম করার লক্ষ্যে সরকার শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নানা ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। যেমন আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা। বর্তমান সরকার যে মুহূর্তে নানামুখী  শিক্ষা কর্মসূচি হাতে নিয়ে অভীষ্ট লক্ষ্যে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে ঠিক সেই মুহূর্তেই মরণঘাতী রোগ কভিড-১৯ মহামারি আকারে হানা দিয়েছে বিশ্বব্যাপী। উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপর এর বিরূপ প্রভাব বেশি পড়েছে। বাংলাদেশে করোনার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। এই ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে কিভাবে সাক্ষরতা কর্মসূচিকে বেগবান করা যায় সে লক্ষ্য সামনে রেখে ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে ঘাটতি পূরণের নিমিত্ত সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতার ও সব কমিউনিটি রেডিওতে ‘এসো ঘরে বসে শিখি’ শিখন কর্মসূচি চালু করেছে। বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য যুগোপযোগী শিখন সামগ্রী প্রণয়নকল্পে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল স্তরের শিক্ষক, শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষা বিশেষজ্ঞগণকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে। এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থী যাদের কাছে টেলিভিশন বা ইন্টারনেট সুবিধা নেই তারা রেডিওর মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবে। তাছাড়া ৩৩৩৬ নম্বরে কল করে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত বিনা খরচে শিক্ষকদের পরামর্শ নেওয়ায় সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা।

মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই ধারবাহিকতায় আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করে আসছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান প্রণীত হয় এবং সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাক্ষরতা বিস্তারে আন্তর্জাতিক ফোরামের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদ্?যাপিত হয়।

১৯৭৩ সালে বেসরকারি উদ্যোগে ঠাকুরগাঁওয়ে সাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়। ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ঠাকুরগাঁয়ে। উল্লেখ্য, এ দিনে ঠাকুরগাঁওর-এর কচুবাড়ী-কৃষ্টপুর গ্রামকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম নিরক্ষরতামুক্ত গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯৭৩ সালে সকলের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ ও অবৈতনিক করেন। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত ড: কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্টে নিরক্ষরতা দূরীকরণ, বয়স্ক শিক্ষা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা নামে একটি অধ্যায়ে দেশে সাক্ষরতা কার্যক্রম পরিচালনার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালে ‘বাংলাদেশ সাক্ষরতা সমিতি’ গঠনের মাধ্যমে ১৮টি জেলায় ৬৮টি থানার ৩২৫টি গ্রামে গণশিক্ষা কেন্দ্র চালু করা হয় এবং এর মাধ্যমে ১৮ হাজার জন নিরক্ষরকে সাক্ষর করে তোলা হয়।

বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ নিরক্ষরকে অক্ষরজ্ঞান দান করা হয়েছে। সাক্ষরতা প্রসারে এ অর্জনের জন্য ইউনেস্কো বাংলাদেশকে ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা পুরস্কার, ১৯৯৮ প্রদান করেন। এছাড়া সবার জন্য শিক্ষা কর্মসূচি ও সহগ্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ বাস্তবায়নের সাফল্যের জন্য ২০১৪ সালে ইউনেস্কোর তৎকালীন মহাসচিব ইরিনা বোকোভা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ‘শান্তির বৃক্ষ’ প্রদান করেন।

শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান দান, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকায়ন, দক্ষ মানবসম্পদে পরিণতকরণ, আত্মকর্মসংস্থানের যোগ্যতা সৃষ্টিকরণ এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত ও ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন প্রণীত হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি-৪ এর লক্ষ্য হচ্ছে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতাপূর্ণ ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং সবার জন্য জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি’। এসডিজি-৪ এর সকল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) প্রণয়ন করেছে।

আন্তর্জাতিক ও জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র গৃহীত কর্মসূচিগুলো হলো- দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে ১৫ এবং তদুর্ধ্ব বয়সি  নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরতাজ্ঞান প্রদানের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)’ বাস্তবায়ন করছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সি  ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতাজ্ঞান প্রদান করা হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জš§শতবার্ষিকীতে অর্থাৎ মুজিব বর্ষে ২১ লক্ষ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরতাজ্ঞান প্রদান করা হবে।

সব শিশুর জন্য মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং ‘চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪)’ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষায় বিদ্যালয় গমনোপযোগী শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ভর্তির হার প্রায় শতভাগে (৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ) উন্নীত হয়েছে এবং ঝরে পড়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে (এপিএসসি-২০১৯)। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার শতভাগে উন্নীতকরণ, ঝরে পড়া রোধ এবং মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যেমন- বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, উপবৃত্তি প্রদান, মিড-ডে মিল, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত কমানো ইত্যাদি।

প্রাথমিক শিক্ষায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জনের পরেও দারিদ্র্য, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি কারণে এখনও ২ দশমিক ২৬ শতাংশ শিশু বিদ্যালয় বহির্ভূত রয়েছে এবং ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ছে। উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় এসব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পিইডিপি-৪-এর সাব-কম্পোনেন্ট এর আওতায় ৮-১৪ বছর বয়সি বিদ্যালয় বহির্ভূত ১০ লক্ষ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪ এর আলোকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বোর্ডের মাধ্যমে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা, সাক্ষরতা বা মৌলিক শিক্ষা, প্রি-ভোকেশনাল-১ ও ২ স্তরের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হবে। বোর্ডের মাধ্যমে সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান যারা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন, শিক্ষকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিরূপণ, শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ ও সনদ প্রদান করা হবে।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু থেকেই প্রকল্পনির্ভর কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যে কারণে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সাব-সেক্টরে কোনো টেকসই প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। ফলে দেশে নিক্ষরতা সম্পূর্ণ দূরীকরণসহ জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে কাঙ্খিত অগ্রগতি সাধিত হয়নি। বর্তমান সরকার এ বাস্তবতা উপলব্ধি করেই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বৃহৎ কর্মসূচিভিত্তিক প্রস্তাব ‘নন-ফরমাল এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-এনএফইডিপি তৈরি করেছে, যা বর্তমানে অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

করোনা ভাইরাস তার অদৃশ্য শক্তির প্রকোপে গোটা বিশ্বের জনজীবনকে আতঙ্কগ্রস্ত করে ফেলেছে। বিশ্বের মানুষ দিশেহারা হয়ে করোনা ভাইরাসকে কিভাবে নির্মূল করা যায় তার পথ খুঁজছে। নিকট অতীতে এধরনের ভাইরাসজনিত রোগের প্রবল প্রতাপে এত মানুষের প্রাণহানী হয়নি বিধায় বিশ্বাবাসী এই মহাসংকট মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল না। করোনা ভাইরাস সংক্রমের কারণে প্রাথমিক শিক্ষাখাতে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে।

পিআইডি নিবন্ধ

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.007490873336792