বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দুই ধরনের বক্তব্যে, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সংসদে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন, কোনো কোটাই থাকবে না। এখন তিনি তার কথা রাখছেন না। তিনি এ সময় অবিলম্বে কোটা সংস্কার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারের নির্বাচন কমিশন গঠনের শুরু থেকে গলদ রয়েছে। গঠনের সময় লোক দেখানো আলোচনা করে তারা তাদের পরীক্ষিত লোকদের এখানে স্থান করে দিয়েছে। বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনতার মঞ্চের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের একজন নেতাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বানানো হয়েছে। তিনি যে কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা করেছেন প্রত্যেকটিতে সরকারের আজ্ঞাবাহী হয়ে কাজ করেছেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক নির্বাচন হবে, কেউ তা বিশ্বাস করে না। তাদের দ্বারা জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এমনটি আশা করাও যায় না।
তিনি বলেছেন, আগামীতে জনগণ যাতে তাদের ভোটাধিকার আদায় করতে পারে এমন নির্বাচন আমাদেরকে আদায় করে নিতে হবে। দেশ স্বৈরাচার মুক্ত না হলে এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। কোনো স্বৈরাচার ইচ্ছে করে ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েই আমাদেরকে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
সভায় আরো বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, সাবেক সাংসদ আহসান হাবিব লিঙ্কন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, বাগেরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনিরসহ আরো অনেকে।