সান্ধ্য কোর্স একবারে বন্ধ না করে কোর্সের গুণগত পরিবর্তন দরকার বলে মন্তব্য করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আলী আক্কাস। দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সান্ধ্য কোর্স বন্ধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। এর বিপেক্ষ নিজের মত দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বণিক বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, "আমার বক্তব্য হচ্ছে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ না করে কোর্সের গুণগত পরিবর্তন দরকার। আসলে বন্ধ করা তো কোনো সমাধান না। এ কোর্সের গুণগত মান বৃদ্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রেখে সান্ধ্যকালীন কোর্স পরিচালনা করা যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত, কীভাবে এ কোর্সের গুণগত মান বৃদ্ধি করা যাবে।"
সন্ধ্যাকালীন কোর্সের গুণগত মান বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে কিনা, এমন প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কিনা আমার জানা নেই। এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে আমি জড়িত নয়।
সন্ধ্যাকালীন কোর্সের মান বৃদ্ধিতে মানসম্মত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এক বছরের কোর্স চালু রাখা যেতে পারে, ৩ দশমিক ২৫-এর নিচে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া যাবে না। এছাড়া এ কোর্সে নানামুখী সংস্কার করা দরকার। হঠাৎ করে সান্ধ্য কোর্স বন্ধ করে দিলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পড়াশোনার জন্য অধিকাংশ শিক্ষার্থী দেশের বাইরে চলে যাবে। এছাড়া দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সন্ধ্যাকালীন কোর্স বন্ধ করে দিলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এ কোর্স চালু করবে। আর সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্লাস নিবেন। তাহলে তো একই কথা হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫০ শতাংশ শিক্ষক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য কোর্সের ক্লাস নেন। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নিচ্ছে, তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেবে এটাই পার্থক্য আর কিছু না। তাই আমি আবারো বলব এ কোর্স বন্ধ না করে গুণগত পরিবর্তন বা সংস্কার প্রয়োজন।