গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) পদত্যাগী সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের ঘুষ, দুর্নীতি, ভর্তি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল ক্রয়ে অনিয়ম তদন্ত শুরু করেছে দুদক।
আজ মঙ্গলবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এর পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তিনি তার তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। আজ ও আগামীকাল বুধবার সাবেক সাবেক উপাচার্যের মেয়াদকালে পরিচালিত কর্মকাণ্ডের তদন্ত করবেন বলে জানা গেছে।
সকাল ১০টায় পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলেছেন এবং তাদেরকে একটি করে ফরম দেয়া হয়েছে। ওই ফরমে সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো তথ্য থাকলে লিখিতভাবে সেগুলো জানাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল সোমবার পরিচালক ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. শাহজাহানকে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় জানানো হয়েছে, ১০৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প রিভাইজ করে ২৫৬ কোটি হয়েছে। উক্ত প্রকল্পে কি কি কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে তার তালিকা ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তিসংক্রান্ত তথ্যাবলী, সাবেক উপাচার্য নাসির উদ্দিন এর সময়কালে নিয়োগ ও আপগ্রেডেশান-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলী, খুলনা শিপ ইয়ার্ড ও নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডকে প্রদত্ত কার্যাদেশসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও কাগজপত্রাদি এবং সিএসই বিভাগের শিক্ষক মো. আক্কাস আলীর ব্যক্তিগত নথি বিষয়ে তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, সাবেক উপাচার্য নাসির উদ্দিনের সময়কালে বিভিন্ন কাজ সরেজমিনে পরিমাপ গ্রহণে গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে তদন্তকাজে সহযোগিতা করার জন্য উপস্থিত থাকতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ভর্তি বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতা, নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন গত ৩০ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন।