যে প্রতিষ্ঠান হাত ধরে শিক্ষাজীবন শুরু হয়, প্রতিষ্ঠা পায় ব্যক্তিজীবন, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। এবার সেইরকম একটি প্রতিষ্ঠান কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা করোনা দুর্যোগের মহামারীকালে পাশে দাঁড়িয়েছেন বর্তমান অস্বচ্ছল ছাত্রছাত্রী ও পরিবারের পাশে ।
সার্ধশতবর্ষ পার করে আসা ঐতিহ্যবাহি এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক এই শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার মান উন্নয়নে এই অঞ্চলে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
শনিবার বেলা ১১টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে কালিয়া পাইলটসহ কালিয়া পিএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, পঞ্চপল্লি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার তুলেন দেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিএম শুকুর আলীসহ তিন স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ।
এসময় বিএম শুকুর আলী বলেন, আমার প্রিয় সাবেকেরা বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। আজ আমরা গর্বিত।
উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়ার সময় প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন এর সাবেক সহসভাপতি জিয়াউল হক পিন্টু বলেন, আমরা খুব আপ্লুত। প্রিয় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা ভীষণ খুশি। এই সঙ্কটে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা উচিৎ। আমাদের সাধ্যের ভেতরে কিছু করার চেষ্টা মাত্র।
এসময় প্রাক্তণ শিক্ষার্থী ও গৌরব '৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন বলেন, আমাদের স্কুলের শিক্ষকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এমন একটি উদ্যোগের পাশে থেকে সহযোগিতার জন্য সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা। এই কার্যক্রমের পরিচালনা করতে যে সকল বন্ধুরা হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের জন্য শুভকামনা। আমরা মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে যেতে চাই। সকল সঙ্কটে যেন আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারি, সেই শিক্ষা নিয়ে এই মহামারী মোকাবেলা করবো এই প্রত্যাশা থেকে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।
উপহার সামগ্রী তুলে দেয়ার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও অন্যতম সংগঠক ২০০০ ব্যাচের মো. খসরুজ্জামান, মুরাদ হোসেন,রাসেল, মাসুম, রিন্টু, আব্রহাম লিংকনসহ প্রমুখ।