সাভারে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে উঠেছে কয়েকটি স্কুলের বিরুদ্ধে। এগুলো হচ্ছে বাড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়, স্বর্ণকলি আদর্শ বিদ্যালয়, শুকুরজান স্কুল ও অ্যাসেড স্কুল, ম্যাস্ট্রো ক্রাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসানের নেতৃত্বে কয়েকটি স্কুলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হলেও থামেনি অতিরিক্ত ফি আদায়ের ঘটনা।
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়মকে তোয়াক্কা না করে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে জন্য অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে এসব স্কুলে। ম্যাস্ট্রো ক্রাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক ড. কামরুল ফরম পূরণের জন্য মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা নিচ্ছেন। আর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৭ হাজার টাকা। একই অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ সরকারকে সতর্ক করা হয়। অভিযানকালে স্বর্ণকলি আদর্শ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদের অতিরিক্ত ফি আদায়ের কথা স্বীকার করেন। পরে আবদুল কাদেরকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
আবদুল কাদের তার অপকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ম্যাস্ট্রো ক্রাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক ড. কামরুল সাংবাদিকদের বলেন, ফরম পূরণের জন্য মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। আর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা নেয়া হলেও তা কোচিং বা অন্যান্য ফি সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে তা পরে রশিদে সংশোধন করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫০০ টাকা আর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৭০০ টাকার বেশি নেয়া যাবে না। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, ম্যাস্ট্রো ক্রাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা রশিদের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে। সাভার উপজেলা ইউএনও শেখ রাসেল হাসান বলেন, ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ১ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে বাড্ডা উচ্চ বিদ্যালয় ও স্বর্ণকলি আদর্শ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬ হাজার টাকা করে ফি আদায় করছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযান পরিচালিত হয়। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে পর্যায়েক্রমে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।