বগুড়ার সারিয়াকান্দির দড়িপাড়া পাইকরতলি দাখিল মাদ্রাসার জুনিয়র শিক্ষক আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে নিবন্ধন সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি প্রমাণ হলেও প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভা না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ইচ্ছেকৃতভাবেই ম্যানেজিং কমিটির সভা করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। শিক্ষক আরিফুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই প্রতিপক্ষরা মিথ্যাচার করছেন। গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অভিযোগে জানা গেছে, আরিফুর রহমান গত ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মে সারিয়াকান্দির দড়িপাড়া পাইকরতলি দাখিল মাদ্রাসার জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তার নিবন্ধন সনদ নম্বর: ৯০০০৪২২৪/২০১০ ও রোল নম্বর: ৩০৮২৩৫৭৪।
গত ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুলাই বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যাচাই করতে গিয়ে জানতে পারে সনদটি সঠিক নয়। এটা অন্য একজনের। ফলে তার (আরিফুর) নিয়োগ বৈধ নয় বলে মন্তব্য করা হয়। ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর আরিফুর রহমান এমপিওভুক্ত হন। ২০১২ থেকে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ২ লাখ ১০ হাজার ৮২০ টাকা বেতন উত্তোলন করেন। এদিকে ওই টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে এবং জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া সনদধারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন জেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকের কাছে চিঠি লেখেন।