নাটোরের সিংড়ার বিলদহর উচ্চ বিদ্যালয় ও একান্নবিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ দখল করে একাংশে চলছে ইট বালু, বাঁশসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা। তাই, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মান সামগ্রী মাঠে জড়ো করে রেখেছে অপরদিকে দোকান ঘর নির্মান করায় মাঠ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা হারাচ্ছে খেলাধুলার সুযোগ।
স্থানীয়রা জানায়, জেলার চামারীর বিলদহর উচ্চ বিদ্যালয় ও একান্নবিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি মাত্র খেলার মাঠ। এই মাঠের অধিকাংশ জায়গা দখল করে ইট, বালু, কাঠ ও ভাঙারি জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। এতে করে মাঠে খেলাধুলা করতে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় শিশু-কিশোরদের নানা সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। বর্তমানে মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলাই হচ্ছে প্রধান মাধ্যম। কিন্তু এই সমস্যার কারণে স্থানীয় অনেক শিশুই খেলাধুলায় আগ্রহ হারাচ্ছে। যা যুব সমাজের জন্য ক্ষতিকর।
উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের নিয়মিত খেলতে আসেন স্থানীয় কিশোর রিপন, সুমন, হাবিবুর, সাজেদুর, সিহাব, সাজদুল, আরিফ, জুয়েল, মাসুদ, আজিম। তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মাঠে খেলাধুলার আর পরিবেশ নাই। দিনে দিনে মাঠ বেদখল হয়ে গেছে।
স্থানীয় একটি যুব সংঘের সাথে সংশ্লিষ্টরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অনেক বার মাঠ স্থানীয়ভাবে সংস্কার করা হয়েছে। এখন মাঠ দখল নিয়ে দোকান বসানো চলছে। মাঠ ৪ মাস থাকে পানির তলে ৬ মাস বিভিন্ন রাস্তার ও স্কুল, কলেজের কাজ। বিলদহরের যুব সমাজের অনেকেই নেশাগ্রস্থ। আমরা একটা প্রতিকার চাই।
এ বিষয়ে চামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুল মৃধা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, যদি কেউ খেলার মাঠ ব্যবসার উদ্দেশ্য ব্যবহার করে থাকে তাহলে সে ঠিক করেনি। যুব সমাজ যদি খেলাধুলার সুযোগ না পায় তাহলে তারা মাদকের দিকে ধাবিত হবে। তিনি আরও বলেন, খেলার মাঠটি খেলার উপযোগী ছিলোনা প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির সহযোগিতায় আমরা মাঠটি খেলার উপযোগী করে দিয়েছিলাম। কিন্তু ঐখানের কতিপয় ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে!
বিলদহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, স্কুল মাঠে একান্নবিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি রাস্তার কাজের মালামাল মাঠে রেখে ঠিকাদাররা কাজ করছে। তবে মাঠে পাশ দিয়ে কিছু দোকান পাঠ স্থাপন করা হয়েছে। এতে মাঠের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, যেহেতু এই মাঠটি বিদ্যালয়ের জায়গা তাই তদন্ত করে অবৈধ স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।