সাহানা আক্তার, পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগে মাস্টার্সে। পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতিতে জড়িয়েছেন তিনি। এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন।
সিটির ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাহানা আক্তার। তিনি জানান, তার বাবা আলহাজ্ব মো. সাইদুর রহমান (সহিদ) গঠনমূলক উন্নয়ন ও সেবার কারণে ও ২৫ বছর ওয়ার্ড কমিশনার ছিলেন।
এ কদিন ধরে দেখা গেছে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার শহিদ নগর এলাকাসহ কয়েক জায়গায় সাহানা আক্তার লিফলেট বিতরণ করছেন। ভোটারদের কাছে করছেন ভোটপ্রার্থনা।
সাহানা জানালেন, নারীরা এখন আর আগের অবস্থানে নেই। দিন দিন উন্নতি করছে তারা। দেশের প্রাধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা নারী। দেশের রাজনীতিসহ বিভিন্ন সেক্টরে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন সফলতার সঙ্গে। এ কারণেও তার বাবার মতো মানুষের সেবা করার জন্য তিনি কাউন্সিলর পদে লড়ছেন।
সাহানা বলেন, তিনি যদি নির্বাচিত হতে পারেন তা হলে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন। মাদকের কারণে তরুণ সমাজ বিপথে যাচ্ছে। তার কাজের অগ্রাধিকার থাকবে মাদক নির্মূলে।
তিনি আরো বলেন, তিনি যখন নির্বাচনী প্রচারে যাচ্ছেন তখন ভোটার ভাইবোনদের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছেন। এলাকার মেয়ে হিসেবে তারা তাকে নির্বাচিত করবেন বলে আশা দিচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, এলাকায় গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। নির্বাচিত হলে গ্যাস সমস্যা সমাধানেরও চেষ্টা করা হবে।
সাহানা বলেন, তিনি এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়াতে চান। তার বাবা আলহাজ্ব সাইদুর রহমান সহিদ এই এলাকায় ২৫ বছর কমিশনার ছিলেন। বাবার নামে ফাউন্ডেশন রয়েছে। এই ফাউন্ডেশন থেকে এলাকার গরীব দুঃখিদের আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা করা হয়। তার বাবা বৃহত্তর সূত্রাপুরের ৬৪টি সংগঠনের সাথে সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তিনি নিজেও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের যাবতীয় উন্নয়ন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন।
তিনি বলেন, তিনি যদি নির্বাচিত হন তা হলে এই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কল্যাণে যা যা প্রয়োজন সব কিছুই করবেন। সামাজিক উন্নয়ন ও গরিব দুঃখী মানুষের জন্য তিনি বাবার মতো সার্বিক সেবায় নিয়োজিত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তিনিও তার বাবার মতো এলাকাবাসীর সেবক হতে চান।
এক প্রশ্নের জবাবে সাহানা বলেন, প্রচার চালাতে গিয়ে এখন পর্যন্ত কোন বাধার সম্মুখীন হননি তিনি।