শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সাথে সাক্ষাৎ করেও দ্রুত এমপিওভুক্তির আশ্বাস বা ভরসা পাননি। তাই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানান ননএমপিও শিক্ষকরা। টানা দুইদিন তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তার উপর অবস্থান করছেন।
গত ২০ জানুয়ারি থেকে এই শিক্ষক-কর্মচারীরা ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
গতকাল অবস্থান চলাকালে একজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা গেছে। তার নাম শৈলেনচন্দ্র মজুমদার। তিনি বরগুনার তালতলী উপজেলার এতিম মঞ্জিল মহিলা দাখিল মাদরাসার শিক্ষক। তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সিসিইউতে রাখা হয়েছে।
ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা গতকাল তৃতীয় দিনের মতো প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষক নেতারা জানান, তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে যাবেন না। গতকাল জুমার দিন তারা প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় নামাজ আদায় করেন বলে জানান কয়েকজন আন্দোলনকারী। এর আগে গত বৃহস্পতিবার পুলিশি বাধায় ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশে পদযাত্রা করতে পারেননি। এর আগে বুধবার ছাত্র-অবরোধের কারণে বের করতে পারেননি শিক্ষকরা। শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবেই। ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘শিক্ষাসচিবের আহ্বানে আমরা ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অফিসার্স ক্লাবে তার সঙ্গে দেখা করতে যাই। কিন্তু সচিব মহোদয় সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস দিতে পারেননি এমপিওভুক্তির।
তাই আমরা ফিরে এসে ফের অবস্থান শুরু করেছি।’ গতকাল প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে দেখা যায়, প্রেস ক্লাবের কদম ফোয়ারা থেকে মূল গেট পর্যন্ত অবস্থান করছেন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। সড়কের ওপর পলিথিন ও কাগজ বিছিয়ে কেউ বসে, কেউ বা শুয়ে আছেন। তিনি আরও বলেন, ‘ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। আন্দোলনের একপর্যায়ে গত বছরের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। আমরা অনশন ভঙ্গ করে বাড়ি ফিরে যাই। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনলাইনে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করে। কিন্তু অজানা কারণে এখনো এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।’