জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির অনিয়মের বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করায় প্রভাষক চঞ্চল সাহাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চাকরিচ্যুতির হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কালিম উল্লাহর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে কলাপাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন প্রভাষক চঞ্চল সাহা। গত ১৭ জুলাই এ জিডি করেন তিনি।
কলেজের পৌরনীতি প্রভাষক চঞ্চল সাহা দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, তিনি মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজে ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে বিরতিহীনভাবে কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ১০ বছর বিনাবেতনে চাকরি করেছেন। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। এমপিওভুক্তির ৮ বছর পূর্তিতে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন প্রভাষক চঞ্চল সাহা। অভিযোগ করে চঞ্চল আরও জানানম এরপর পদোন্নতির সব কাগজপত্র দেয়া সত্বেও অধ্যক্ষের অনৈতিক দাবি মেটাতে না পারায় চঞ্চলের পদোন্নতির বিষয়টি আটকে দিয়ে জুনিয়র তিন শিক্ষককের সহকারী অধ্যাপক স্কেলের আবেদন অনলাইনে পাঠিয়েছেন অধ্যক্ষ মো. মো. কালিম উল্লাহ। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে চঞ্চল সাহা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২৮ মে অধ্যক্ষ মো. কালিম উল্লাহকে শোকজ করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
অভিযোগ করে চঞ্চল সাহা জানান, শোকজ নোটিশ পেয়ে ক্ষিপ্ত অধ্যক্ষ মো. কালিম উল্লাহর গত ১৭ জুলাই দুপুরে কলাপাড়া পৌর শহরের রাডার স্টেশন সংলগ্ন রাস্তায় তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ দেয়ায় কীভাবে প্রভাষক কলেজে চাকরি করেন তা দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এমনকি সে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হওয়ায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
তবে, প্রভাষককে হুমকি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কালিম উল্লাহ দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, চঞ্চল সাহার সাথে বুধবার পর্যন্ত আমার কোন কথা হয়নি। জিডির ঘটনা বিষয়টি আমি শুনেছি। এসময় অধিদপ্তর থেকে শোকজ নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে অধ্যক্ষ বলেন, শোকজের জবাব দু-একদিনের মধ্যে পাঠিয়ে দেব।