সিপিএফ বা প্রদেয় ভবিষ্যত তহবিলভুক্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং করপোরেশনসমূহে চাকরি করে অবসর নিলে এককালীন কিছু অর্থ দেওয়া হয়। সরকারি অফিসে আমাদের পোস্ট বা চাকরি বা দুটোই অস্থায়ী ছিল। ইচ্ছে করলেও এ তহবিল ছাড়ার সুযোগ ছিল না। অন্যেরা মাঝে মধ্যে অপশন দিয়ে জিপিএফ-এ আসতে পারতেন। কিন্তু চাকরির নিরাপত্তা না থাকায় তাঁরা পেনশনে আসেন নাই। তাছাড়া ২০০৫-এর পে-স্কেলের আগে পেনশন কখনোই বাড়েনি। মানুষের গড় আয়ু কম থাকাও একটা বিবেচ্য বিষয় ছিল। সে সময় ২৫/৩০ বছর চাকরি করে ১০ বছরের বেশি পেনশন ভোগ করার সুযোগ ছিল না। তাই সুযোগ থাকলেও অনেকেই এই তহবিল ছেড়ে যাননি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলে গেছে। পেনশন এখন প্রতিটি পে-স্কেলে কমবেশি বাড়ছে। বছরে ৫% হারে ইনক্রিমেন্ট হচ্ছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ হয়েছে। অন্যদিকে সিপিএফ-এর সুদাসলে এককালীন প্রাপ্তি ১০/১২ বছরে ফুরিয়ে গেছে। বাকি দিনগুলি এখন হাত পেতে চলতে হয়। আশার কথা, সরকার পেনশন সমর্পণকারীদের এখন ১৫ বছর অন্তে পেনশনে ফিরিয়ে আনছেন।
উল্লেখ্য, চাকরির সময়ে আমরা সকলেই অর্থাত্ জিপিএফ, সিপিএফ নির্বিশেষ একই হারে চিকিত্সাভাতা, উত্সবভাতা ইত্যাদি পেয়ে এসেছি। কিন্তু অবসরের পর কিছুই পাচ্ছি না। এ অবস্থায়, সরকারের নীতি- নির্ধারণী কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন এই যে, ১) অবসর গ্রহণের পর সিপিএফভুক্তকে চিকিত্সাভাতা, সাধারণ উত্সবভাতা ও বাংলা নববর্ষভাতা দেওয়া, ২) তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীকেও ঐসব ভাতা দেওয়া এবং ৩) পেনশন সমর্পণকারীর মতো অবসর গ্রহণের নির্দিষ্ট সময় পর তাঁকে এবং তাঁর মৃত্যু হলে তাঁর স্ত্রীকে পেনশন দেওয়া হোক।
সেনপাড়া-পর্বতা, ঢাকা