পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার চিরাপাড়া কে এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সুদের টাকা দিতে না পারায় মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, পারিবারিক প্রয়োজনে ব্যবসায়ী রাজ্জাকের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন শিক্ষক মজিবুর রহমান। ঐ টাকার প্রায় ৩ গুন পরিশোধ করলেও চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় শিক্ষকের নামে পিরোজপুর কোর্টে মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী রাজ্জাক।
ভূক্তভোগী শিক্ষক মজিবুর রহমান জানান, তিনি পারিবারিক প্রয়োজনে কাউখালী বন্দরের মাদরাসা লাইব্রেরির স্বত্ত্বাধিকারী রাজ্জাকের কাছ থেকে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে ডিসেম্বর মাসে ৫০ হাজার ও ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে আরো ৫০ হাজার মোট ১ লক্ষ টাকা নেন। সুদে আসলে টাকা পরিশোধের শর্ত হিসেবে একটি চেকের পাতা জমা রেখে দেন তিনি। প্রতিমাসে সুদ বাবদ রাজ্জাককে তিনি ৩ হাজার টাকা করে পরিশোধ করেন। তিনি ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে কাউখালী সোনালী ব্যাংক থেকে ১ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে রাজ্জাককে দিয়ে দেন। এবং তার বাগানের আরো ২৫ হাজার টাকা মূল্যের সুপারী দেন।
এরপরে তিনি তার জমা দেওয়া চেকটি ফেরত চাইলে রাজ্জাক শিক্ষক মজিবরের কাছে আরো টাকা পাবেন বলে দাবি করেন। শিক্ষক রাজ্জাকের দাবি করা টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরে এ বিষয়ে কয়েকবার এলাকায় শালিশ বসলেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি।
রাজ্জাক তার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসের দিকে পিরোজপুর কোর্টে শিক্ষক মজিবুর রহমানের নামে ২ লক্ষ টাকা পাওনার একটি মামলা দায়ের করেন।
ব্যবসায়ী রাজ্জাক বলেন, শিক্ষক মজিবুর রহমান প্রথমে তার সাথে লেনদেন ভালো করেন, শেষের দিকে লেনদেন ঠিকমত করছিলেন না। তখন তার পাওনা টাকার জন্য স্কুলের সভাপতি প্রধান শিক্ষকসহ এলাকার গণ্যমান্যদের কাছে বলেও টাকা আদায় না করতে পেরে বাধ্য হয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। জানা যায়, এরআগে রাজ্জাক সুদের টাকা আদায়ের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার নামেও মামলা দায়ের করেছিলেন।