বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের যোগদান করানোর নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের যোগদানে বাধা দেয়ায় সাড়ে তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ প্রেক্ষিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আগে সুপারিশপ্রাপ্তদের শিক্ষক পদে যোগদান করিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের শেষ সুযোগ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ৯ মে এর মধ্যে সুপারিশ প্রাপ্তদের যোগদান করিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য নির্দেশনা জারি করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (৮ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করতে গত ডিসেম্বর মাসে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এ প্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে সাড়ে ৩১ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদান করায়নি অনেক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। এ প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী প্রার্থীরা আবেদন করেছিলেন এনটিআরসিএতে। তাদের আবেদনগুলো আমলে নেয় মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ। সম্প্রতি সাড়ে তিনশর বেশি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আগে শেষ সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে চিঠি দেয়া হয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তরে। সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদান করিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে। প্রথম দফায় এনটিআরসিএ থেকে আসা ১৪৪ জন সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীকে যোগদান করাতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দিতে শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ জুন জারি করা বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর ১৮ এর (ঘ) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এনটিআরসিএতে শিক্ষক চাহিদা দিলে উক্ত পদে মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। প্যাটার্নের অতিরিক্ত চাহিদা দিলে উক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাহ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন ভাতা স্থগিত বা বাতিল করা হবে এবং পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদান করানোর শেষ সুযোগ পাচ্ছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা