সৃজনশীল পদ্ধতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? - দৈনিকশিক্ষা

সৃজনশীল পদ্ধতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

বহু ঢাকঢোল পিটিয়ে, বহু শ্রুতিমধুর কথা আর আশার বাণী শুনিয়ে এ দেশে ২০১০ সাল থেকে শুরু হয়েছিল কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নপত্রভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি; যাকে পরবর্তী সময়ে সৃজনশীল পদ্ধতি নামে ডাকা হয়। ৯ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও এ সৃজনশীল পদ্ধতির ভীতি ছাত্র-শিক্ষক কারও মধ্যেই কাটেনি। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশের মহৎ যে উদ্দেশ্য নিয়ে এটি শুরু হয়েছিল, তা তো হয়নিই; বরং ক্রমে আমরা একটি ভঙ্গুর প্রজন্মের দিকে ধাবিত হচ্ছি। রোববার (২২ ডিসেম্বর) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়, পদ্ধতিটি আজ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হুটহাট নিত্যনতুন পদ্ধতি চালু করা, নিত্যনতুন নিয়ম চালু করা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার এক স্বাভাবিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংকসহ বিদেশি কোনো সংস্থা শিক্ষাব্যবস্থায় কোনো পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দিলে আমরা সেটাকে বেদবাক্য মনে করে তা প্রয়োগ করতে উঠেপড়ে লাগি; আবার কোনো কোনো শ্রদ্ধেয় বুদ্ধিজীবী বিদেশি কোনো পদ্ধতিতে মোহিত হয়ে সেটা আমাদের দেশে বাস্তবায়নের জন্য উঠেপড়ে লাগেন। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, শিক্ষদের দক্ষতা ও মনমানসিকতা, শিক্ষার্থীদের বয়স, সামর্থ্য, যোগ্যতা, শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি নানা বিষয় বিবেচনা না করেই আমরা চালু করে দেই নিত্যনতুন পদ্ধতি। যেন এ শিক্ষাব্যবস্থা একটা পরীক্ষাগার। এর ফলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা দৈন্যদশা কাটিয়ে উঠতে পারছে না।
আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বেনজামিন ব্লুম ১৯৫৬ সালে শিখন উদ্দেশ্যকে জ্ঞানমূলক ক্ষেত্র, বিশ্বাস-অনুভূতিমূলক ক্ষেত্র এবং মনোপেশিজ ক্ষেত্রে ভাগ করেন। এ উদ্দেশ্যগুলোকে শিখন দক্ষতা বিবেচনা করে মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও তা প্রয়োগ করা যায়। জ্ঞানমূলক দক্ষতা মূলত শিক্ষার্থীর জ্ঞানসম্পর্কিত যাবতীয় দক্ষতাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যেগুলো লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা যায়। শিখন কার্যক্রম শিক্ষার্থীর নিজের বিশ্বাস ও অনুভূতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আনছে, তা বিশ্বাস-অনুভূতিমূলক দক্ষতার বিবেচ্য বিষয়; যা আংশিক লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে পরিমাপ করা গেলেও মূলত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই মূল্যায়ন সবচেয়ে কার্যকরী। কোনোকিছু শেখার পর হাতে-কলমে সেটি করতে পারা মনোপেশিজ দক্ষতার অন্তর্ভুক্ত। আমাদের দেশে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে বিশ্বাস-অনুভূতিমূলক দক্ষতা ও মনোপেশিজ দক্ষতাভিত্তিক মূল্যায়ন তেমন গুরুত্ব পায়নি; যদিও আচরণের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এ দুটি দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কেবল জ্ঞানমূলক দক্ষতাভিত্তিক মূল্যায়নের ভিত্তিতেই একজন শিক্ষার্থীর মেধা যাচাই করছি। ব্লুমস টেক্সোনমি অনুযায়ী জ্ঞানমূলক দক্ষতার ছয়টি ধাপ হচ্ছে স্মরণ, উপলব্ধি, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ ও মূল্যায়ন। আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরা ব্লুমসের জ্ঞানমূলক ক্ষেত্রের বারোটা বাজিয়ে ছয়স্তরের শিখন ফলককে চারস্তরে নামিয়ে এনেছেন। প্রথম তিন ভাগ ঠিক রেখে শেষের তিন ধাপকে একসঙ্গে উচ্চতর দক্ষতা হিসেবে বিবেচনা করেছেন। ব্লুমের তত্ত্বানুযায়ী একজন শিক্ষার্থীর বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ ও মূল্যায়ন দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর প্রত্যেকটির স্বতন্ত্র মাহাত্ম্য আছে। কিন্তু যখনই আমরা সেগুলোকে উচ্চতর দক্ষতা হিসেবে একটা ধাপে নিয়ে এসেছি, তখনই বিষয়টি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে; স্বাতন্ত্র্য হারিয়ে ফেলেছে। ব্লুম সাহেব যদি জানতেন, তার কগনেটিভ ডোমেইনের এমন বারোটা বাজিয়ে দেবেন বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা, তাহলে হয়তো তিনি এ তত্ত্ব দিতে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতেন! সৃজনশীলতার যে উদ্দেশ্য নিয়ে এ পদ্ধতি চালু হয়েছিল, সেটা এ কারণে প্রশ্নবিদ্ধ।

আমাদের দেশে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করার সময় একটাই কথা বলা হয়েছিল, দেশ থেকে মুখস্থবিদ্যার ভূত তাড়ানো হবে। মুখস্থবিদ্যা করে করেই এ জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে, জাতিকে সৃজনশীল জাতিতে পরিণত করার জন্য সৃজনশীল পদ্ধতির বিকল্প নেই! ব্লুমসের জ্ঞানমূলক ক্ষেত্রের প্রথম ধাপই কিন্তু ‘স্মরণ’। স্মরণ তথা মুখস্থবিদ্যাকে আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তাই ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে পারেননি। যদিও তাদের ইচ্ছে ছিল সেটাই। ব্লুমস জীবিত থাকলে হয়তো তারা ব্লুম সাহেবকে অনুরোধ করতেন, এই প্রথম ধাপটি উঠিয়ে দিতে! অথচ কিছু কিছু বিষয়ে মুখস্থবিদ্যার দরকার আছে। আজকে ছেলেমেয়েরা দুই লাইন কবিতা আবৃত্তি করতে পারে না। লিখতে বসলে অন্য কোনো রচনার উদ্ধৃতি, দু-এক লাইন কবিতার ছত্র তারা উল্লেখ করতে পারে না।

একটা বিষয় আমাদের মাথায় রাখা দরকার ছিল যে, সব বিষয়ের মূল্যায়ন একই রকম হওয়া ঠিক নয়। বাংলা সাহিত্যে যেরকম মূল্যায়ন করা দরকার, অঙ্কতে তা নাও প্রযোজ্য হতে পারে। আমরা সবকিছু এক হাঁড়িতে বসিয়ে খিচুড়ি রাঁধার মতো অবস্থা করেছি। উদ্দীপক দেয়া হচ্ছে এবং সেই উদ্দীপক ও পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু থেকে শিক্ষার্থীরা উত্তর দিচ্ছে। সাহিত্যের ক্ষেত্রে তিন-চার লাইনের কোনো উদ্দীপক কি কোনো বিখ্যাত সাহিত্যিকের গল্প বা উপন্যাসের চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম? উদ্দীপকে তো গল্পের চরিত্রের সব বৈশিষ্ট্য থাকে না। তাহলে শিক্ষার্থীরা খণ্ডিত চরিত্রের সঙ্গে গল্পের চরিত্রের যে তুলনা করে, তা কতটা যৌক্তিক? সবচেয়ে বড় কথা, আমরা যখন উদ্দীপকের চরিত্রের সঙ্গে গল্পের চরিত্রের তুলনা করি, তাতে আসলে ওই গল্পকারকেই অবমাননা করা হয়। সাহিত্যের রস আস্বাদনের পরিবর্তে আমাদের শিক্ষার্থীরা এখন চরিত্রের তুলনা করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সৃজনশীলতার জাঁতাকলে।

অনেকেই বলবেন সৃজনশীল তো মূল্যায়ন পদ্ধতি, এর সঙ্গে পাঠদানকে সম্পর্কযুক্ত করা ঠিক নয়। পাঠদানের সঙ্গে অবশ্যই মূল্যায়নকে সম্পর্কযুক্ত করতে হবে। পাঠদান যেভাবে হবে, সেভাবেই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে হবে। আমাদের দেশে এই যে জিপিএ-র ঢল নেমেছে, এর অন্যতম কারণ এ সৃজনশীল পদ্ধতিতে মূল্যায়ন। সত্যি বলতে কী, একজন পরীক্ষক জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর সঠিক হলে নম্বর কাটতে পারেন না। অন্যদিকে প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থী নিজের মতো করে চিন্তা-ভাবনা করে যুক্তি দিয়ে যা খুশি উত্তর দিলেই তাকে নাম্বার দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। যে কারণে একজন পরীক্ষার্থী দশ নম্বরের মধ্যে কখনও আট বা কখনও পুরো নম্বর পাচ্ছে। এর ফলে বাড়ছে তথাকথিত জিপিএ ফাইভধারী মেধাবীর সংখ্যা, যা দিয়ে আসলে প্রকৃত মেধাবী যাচাই করতে এখন আমরা হিমশিম খাচ্ছি। বিশেষ করে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি হতে গিয়ে যখন এসব জিপিএ ফাইভধারীরা নাকানিচুবানি খাচ্ছে, তখনই এ পদ্ধতির অন্তঃসারশূন্যতা আমাদের মাঝে বেশি করে দৃশ্যমান হচ্ছে। আমরা আগপিছ বিবেচনা না করেই সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছি; যার সঙ্গে আদৌ সৃজনশীলতার তেমন সম্পর্ক নেই। এনসিটিবি ও শিক্ষা বোর্ডগুলো যেভাবে প্রশ্নের নমুনা দিয়েছে, ঠিক সেভাবেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করার নির্দেশনা রয়েছে। একটি প্রশ্ন কতভাবে করা যায়, কতভাবেই তো লেখা যায়, কিন্তু যদি সেই নির্দেশনা অনুসারে প্রশ্ন করতে হয়; তবে তাকে সৃজনশীল প্রশ্ন বলাটা কতটা যুক্তিযুক্ত! কেবল বানিয়ে উদ্দীপক তৈরি করে জ্ঞান যাচাই করাই কি সৃজনশীলতা? উদ্দীপক ছাড়া কি সৃজনশীল প্রশ্ন করা যায় না? উদ্দীপক ও গৎবাঁধা কাঠামো ছাড়া কি জ্ঞানমূলক ডোমেইনের মূল্যায়ন করা যায় না?

বিশ্বব্যাংক নানা সময় নিত্যনতুন প্রকল্প নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়। আর আমরাও সেটা বাস্তবায়নের জন্য উঠেপড়ে লাগি আগপিছ না ভেবে; শুধু ব্যক্তিগত কিছু ফায়দা লোটার জন্য। একসময় একমুখী শিক্ষা নিয়ে বহু জল ঘোলা হয়েছিল। সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর এলো বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন, যা নাম বদলে হয়ে গেল সৃজনশীল প্রশ্ন। কিন্তু আমরা কি একটুও ভেবেছি, এতে আদতে আমাদের ছেলেমেয়েদের প্রকৃত মূল্যায়ন করা যাবে? আমরা কি সবলতা-দুবর্লতা বিশ্লেষণ করেছি?

আমরা কি আমাদের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সামর্থ্য ও দক্ষতার সীমাবদ্ধতার কথা ভেবেছি? আমরা কি আমাদের স্কুল, কলেজের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন ভৌত অসুবিধাদির কথা ভেবেছি? আমরা কি আমাদের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের দুর্বলতার কথা ভেবেছি? না, ভাবিনি। এক সময় যারা এই পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল; এখন তারাই বলছে, এই পদ্ধতি বুমেরাং হয়েছে। এখন কেন তারা আফসোস করছেন? যেসব শিক্ষার্থী এ পদ্ধতির বলি হয়েছে, তাদের কাছে এরা কী জবাব দেবেন?

সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণের জন্য সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে। একশ’জন কোর ট্রেনার দিয়ে বারোদিনে মাস্টার ট্রেনার বানানো এবং এ মাস্টার ট্রেনার দিয়ে তিন বা সাতদিনের ট্রেনিংয়ে লাখ লাখ শিক্ষককে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে দক্ষ করে তোলার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, তা আদতে কোনো কাজে আসেনি। মাউশির এক জরিপে উঠে এসেছিল ভয়াবহ সেই সত্য। কেবল ৫৬ শতাংশ স্কুলের শিক্ষক সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্ন করতে পারে। এ পদ্ধতিতে একেবারেই প্রশ্ন করতে পারে না এমন স্কুল ১৭ শতাংশ। বাকি প্রায় ২৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের কিছু কিছু শিক্ষক সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র তৈরি করতে পারেন। জরিপ অনুযায়ী, ৪০ শতাংশ শিক্ষকেরই নিজ থেকে সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরির দক্ষতা নেই। ১৬ শতাংশ শিক্ষক বাইরে থেকে প্রশ্ন তৈরি করে আনেন এবং ২৩ শতাংশ শিক্ষককে অন্যদের সাহায্য নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করতে হয়। রিসার্চ ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব কমপ্লিট এডুকেশন (রেইস)-এর জরিপ অনুযায়ী, মোট শিক্ষার্থীর এক-চতুর্থাংশই পরীক্ষার প্রশ্ন বুঝতে অক্ষম এবং তাদের কাছে কঠিন মনে হয়; বিশেষত গণিত ও ইংরেজির মতো বিষয়। এ জরিপ রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ৯২ শতাংশই গাইডবইনির্ভর। ওদের দুই-তৃতীয়াংশ সৃজনশীল পদ্ধতি বোঝার জন্য গৃহশিক্ষকের সাহায্য নিচ্ছে। এ দুটি জরিপের ফল থেকেই বোঝা যায়, সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির দুর্বোধ্যতা এবং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এর নেতিবাচকতা।

দেশে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছিল আমাদের শিক্ষার্থীদের মুখস্থপ্রবণতা, কোচিং ও নোট-গাইডবইনির্ভরতা কমিয়ে সৃজনশীল এক প্রজন্ম তৈরি করা। কিন্তু বাস্তবে সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর পর কোচিং, স্কুল কোচিং, প্রাইভেট টিউশনি ও গাইডবইয়ের ব্যবসা আরও রমরমা। আমাদেরও পরিকল্পনার ‘পরি’ উড়ে গেছে; শুধু পড়ে আছে ‘কল্পনা’, পড়ে আছে স্বপ্ন। সৃজনশীল পদ্ধতির সংস্কার তথা মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে এবং এক্ষেত্রে বিদেশি কোনো সংস্থার পরামর্শ কিংবা শিক্ষায় ডিগ্রিবিহীন বুদ্ধিজীবীদের চেয়ে শিক্ষায় উচ্চডিগ্রিধারী বিশেষজ্ঞদের মতামতকে বেশি প্রাধান্য দেয়াটা বেশি জরুরি।

ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান লিটু : সহযোগী অধ্যাপক, আইইআর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আরিফুর রহমান : প্রভাষক, আইইআর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035808086395264