সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নে বিতর্কিতদের নাম ব্যবহার করলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া প্রশ্ন প্রণয়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মানলেও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা বোর্ড। উদ্দীপক হিসেবে বিতর্কিত বিষয়ের ব্যবহার বিব্রতকর পরিস্থতির সৃষ্টি করছে বলেও মত দিয়েছেন বোর্ডের কর্মকর্তারা। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে প্রশ্ন প্রণয়ন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলেছে ঢাকা বোর্ড। ঢাকা বোর্ড থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাধ্যমিক পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় বিতর্কিত বিষয়গুলো সৃজনশীল প্রশ্নের উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এতে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ নভেম্বর একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ নভেম্বর জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এ পরিপত্রের পরিপন্থি কোনো প্রশ্ন প্রণয়ণ করা হলে প্রধান শিক্ষক ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন এবং প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ২২ নভেম্বর জারি করা পরিপত্রে বলা হয়, পাঠ্যপুস্তকে রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম না থাকলে সৃজনশীল প্রশ্নের উদ্দীপক হিসেবে রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করা যাবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব, সরকার, কোনো জনগোষ্ঠী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি বা অঞ্চলকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে কোনো উদ্দীপক বা প্রশ্ন তৈরি করা যাবে না। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, গোষ্ঠী, ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জাতীয় অনুষ্ঠানকে অমর্যাদা করে কোনো প্রশ্ন তৈরি করা যাবে না।
আরও পড়ুন:
রাজউক কলেজের প্রশ্নে সেফুদা, অধ্যক্ষের দাবি দুর্ঘটনা
রাজউকের সেই শিক্ষক বরখাস্ত: প্রশ্নপত্রে সেফুদা
পরিপত্রে আরও বলা হয়, রাষ্ট্র বা জাতিকে অমর্যাদা করে কোনো উদ্দীপক বা প্রশ্ন তৈরি করা যাবে না। সংবিধান পরিপন্থি বা রাষ্ট্রবিরোধী কোনো বিষয় ব্যবহার করে উদ্দীপক ও প্রশ্ন প্রণয়ন করা যাবে না। ধর্ম, তীর্থস্থান, ধর্মীয় স্থাপনা, রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, ঐতিহাসিক স্থান ইত্যাদিকে অসম্মান করে কোনো উদ্দীপক ও প্রশ্ন প্রণয়ন করা যাবে না। কোনো অশোভন ছবি বা বিতর্কিত ব্যক্তি ও তার কার্যকালাপ উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। সরকার ও সমাজ কর্তৃক অননুমোদিত বা অগ্রহণযোগ্য বিষয়সমূহ ইতিবাচক অর্থে সৃজনশীল প্রশ্নে ব্যবহার করা যাবে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ পরিপত্রের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়ণ করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের বলেছে ঢাকা বোর্ড।