সেই অধ্যক্ষের ৭০ লাখ টাকার বাড়ি - দৈনিকশিক্ষা

সেই অধ্যক্ষের ৭০ লাখ টাকার বাড়ি

ফেনী প্রতিনিধি |

বাড়ির নাম ‘ফেরদৌস মঞ্জিল’। মাদরাসাছাত্রী রাফি হত্যার মূল অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা এই বাড়ির মালিক। এর অবস্থান ফেনী পৌর এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মকছুদুর রহমান সড়কে। জমি কেনা এবং বাড়িটি বানাতে প্রায় ৭০ লাখ টাকা খরচ করেন তিনি। বাড়িটির সব সদস্য ঘরে তালা দিয়ে গাঢাকা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, সাত-আট বছর আগে ২০ লাখ টাকায় সাড়ে চার শতক জমি কেনেন সিরাজ উদ দৌলা। প্রথমে টিনশেড বাড়ি ছিল। বছর তিনেক আগে দোতলা দালান করেন প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে। ছয়তলা ফাউন্ডেশনের ওপর দোতলা বাড়ি। ওই ভবনের দোতলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন সিরাজ। কয়েক দিন আগে ঘরে তালা দিয়ে গাঢাকা দেয় পরিবারের সদস্যরা। তারা কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা প্রতিবেশীদের।

সিরাজ উদ দৌলার বাড়ির সামনে মুখোমুখি ফ্ল্যাটে বসবাস করেন ফেনী সদরের ফাজিলপুরের মো. ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ‘চার-পাঁচ দিন আগে ওই বাড়ির লোকজন ঘরে তালা দিয়ে চলে গেছে। কোথায় গেছে তা বলতে পারব না। আমরা আসলে এত কিছু জানতামও না। বাইরে থেকে তাঁকে সাধারণ বলেই মনে হতো। এখন পত্রপত্রিকা দেখে ওনার সম্পর্কে জানতে পারছি।’

সিরাজের বাড়ির নিচতলায় ভাড়াটে থাকত। স্থানীয়রা জানায়, কয়েক মাস আগে ভাড়াটে চলে যায়। এরপর সেটি আর ভাড়া হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রতিবেশী জানায়, বিভিন্ন সময় তাঁর ব্যাপারে অনেক অভিযোগ শোনা গেছে। তাঁর পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা জানায়, এখন তাঁর অপকর্মের কথা জেনে প্রতিবেশীরা লজ্জিত ও বিব্রত।

তাদের মতে, ফেনী শহরের পাঠানবাড়ী রোড ও মকছুদুর রহমান সড়কে জামায়াতকেন্দ্রিক একাধিক প্রতিষ্ঠানের অংশীদার ছিলেন এই সিরাজ। নানাভাবে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি আর্থিকভাবে লাভবানও হন। এসব খাত থেকে পাওয়া অর্থে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে দোতলা বাড়ি করেন তিনি।

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031089782714844