অবৈধভাবে নিয়োগ বাগানো, প্রায় দুই লাখ টাকা মাসিক বেতন-ভাতা গ্রহণ, লুটপাট ও ছাত্রীদেরকে দিয়ে মানববন্ধন ও মিছিল করাতে বাধ্য করানো সহ নানা অভিযোগে ওএসডি হওয়া শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ইফতেকার আলীকে বরিশালের সরকারি বিএম কলেজে বদলি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (১০ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে ইফতেকারের বদলির আদেশ জারি হয়।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রীর অ্যাকশন শুরু, সালমা ও ইফতেকার ওএসডি
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ অধ্যক্ষ ইফতেকার আলীর লিয়েন বাতিল করে তাকে ওএসডি করা হয়। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ইফতেকার আলী টাকার লোভে বেসরকারি এমপিওভুক্ত কলেজে লিয়েনে অধ্যক্ষ পদে যোগ দেন প্রায় তিন বছর আগে। অবৈধভাবে নিয়োগ বাগানো, প্রায় দুই লাখ টাকা মাসিক বেতন-ভাতা গ্রহণ, লুটপাট ও ছাত্রীদেরকে দিয়ে মানববন্ধন ও মিছিল করাতে বাধ্য করানো সহ নানা অভিযোগ ইফতেকারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী ও উপাচার্যের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে শোকজ
অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক তদন্ত প্রতিবেদনে লিয়েনে অধ্যক্ষ পদে ইফতেকারকে নিয়োগ দিয়ে কলেজটি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ পদে ইফতেকার আলীর নিয়োগ অবৈধ। তাকে প্রচলিত বিধান অনুযায়ী কলেজটিতে নিয়োগ দেয়া হয়নি। কলেজটিতে নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তকরণের অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ওঠা ‘টাকার বিনিময়ে নিষিদ্ধ গাইড বই সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তকরণের’ অভিযোগেটির সত্যতাও পেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে শিক্ষা ক্যাডারের ইফতেকারের নিয়োগ অবৈধ
দৈনিকশিক্ষা ডটকমে গত ১৪ জানুয়ারি ‘সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে শিক্ষা ক্যাডারের ইফতেকারের নিয়োগ অবৈধ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি ইফতেকারের যত অপকর্ম শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে তা শিক্ষামন্ত্রীর নজরে আসে। ১৯ ফেব্রুয়ারি কলেজের অনুষ্ঠানে গিয়ে মন্ত্রীর চোখের সামনে না আসতে অধ্যক্ষকে বলা হয়। কিন্তু তা মানেননি ইফতেকার। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নির্দেশ অমান্য করে কলেজের মঞ্চে ওঠেন। নির্দেশ অমান্য করায় তাকে শোকজ করেছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।