নেত্রকোনার দুর্গাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েই থাকতে হচ্ছে কোচিংবাজ শিক্ষক মো: জহিরুল ইসলামকে। দুর্নীতি দমন কমিশনের সুপারিশে তাকে মাত্র ৭ মাস আগে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দুর্গাপুরে বদলি করা হয়েছিল। সচিব পর্যায়ে এক কর্মকর্তার তদবিরে তিনি ফের মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলির আদেশ নিয়েছিলেন ১৫ অক্টোবর। এ খবরে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে ১৬ অক্টোবর তার বদলির আদেশ বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা অধিদপ্তর।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর মো: জহিরুল ইসলামসহ রাজধানীর আট প্রতিষ্ঠানের ৯৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সচিব মো. শামসুল আরেফিনের স্বাক্ষরে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, এমপিওভুক্ত চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭২ জন শিক্ষক এবং সরকারি চারটি বিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে যুক্ত বলে দুদক প্রমাণ পেয়েছে।
এ সুপারিশের প্রেক্ষিতে গত ৩১ জানুয়ারি মো: জহিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষককে ঢাকার বাইরে বদলি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এসময় জহিরুল ইসলামকে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে নেত্রকোনার দুর্গাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছিলো।
উল্লেখ্য, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ হাফিজুল ইসলাম শিক্ষাখাতে জামাতপন্থী হিসেবে পরিচিত এবং তিনি ২০০৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে অদ্যাবধি ঘুরেফিরে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল ও মতিঝিল বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন : কোচিং বাণিজ্যে অভিযুক্ত শিক্ষক ফের মতিঝিল হাইস্কুলে