ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদা বলেন, ১১ মার্চ নির্বাচনের আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছয়টি ব্যালট বাক্স এবং তিনটি ট্রাংকসহ কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য চার হাজার ৬০৮টি এবং হল সংসদের জন্য চার হাজার ৬৩৮টি ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হয়। ভোটের দিন ৬টি ব্যালট বাক্স ভোট কেন্দ্রে রাখা হয়। আর বাকি তিনটি ট্রাংক দুই হাজার ৬০৮টি ব্যালট পেপারসহ পাশের রুমে রাখা হয়েছিল। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। পরে ওইগুলো সব প্রার্থীকে দেখানোও হয়। সেগুলোতে কোনো সিল মারা ছিল না। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রোকেয়া হলের ফটকে অনশনে থাকা পাঁচ ছাত্রী হেনস্তার শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে হলটির প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদা বলেছেন, ছাত্রীরা হলের গেটের বাইরে গিয়ে অবস্থান করছেন। সেখানে হেনস্তার হওয়ার ঘটনাটি আমাদের কনসার্ন না। আমাদের কনসার্ন হচ্ছে তাদের গেটের বাইরে থেকে হলের ভেতরে নিয়ে আসা।
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ হওয়া ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ এনে হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে রোকেয়া হলের পাঁচছাত্রী গেটের বাইরে অনশন শুরু করেন। রোকেয়া হলের এই ছাত্রীদের অনশনে সংহতি জানান কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর।