দৈনিক শিক্ষায় রিপোর্ট প্রকাশের পর ফেরত দেওয়া হচ্ছে স্কুল সমাপনী পরীক্ষার্থীদের ফেয়ারওয়েলের নামে আদায় করা অস্বাভাবিক হারে চাঁদা। গত শনিবার (০৯ অক্টোবর) থেকে পটুয়াখালীর বাউফলের ধানদী বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাথাপিছু ৭শ’ টাকা হারে আদায় করা ফেয়ারওয়েলের চাঁদা ফেরত দিচ্ছেন শিক্ষকরা।
আনিচুর রহমান নামে এক অভিভাবক জানান, গত শনিবার বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সব শিক্ষার্থীদের হাতে তাদের কাছ থেকে নেওয়া ফেয়ারওয়েলেরচাঁদার টাকা ফেরত দেন। ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক শিক্ষার্থী শান্তার বাবা নুরুল ইসলাম জানান, তার মেয়ে শান্তার বাবদ নেওয়া ফেয়ারওয়েলের চাঁদার পুরো ৭শ’ টাকাই ফেরত দেওয়া হয় আনিচুর রহমান নামে ওই অভিভাবকের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: ‘সমাপনীর ফেয়ারওয়েলের চাঁদা ৭০০ টাহা ক্যামনে দিমু?’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাক সংবাদ প্রকাশের পর ফেয়ারওয়েলের নামে নেওয়া মাথাপিছু ৭শ’ টাকা ফেরত দেওয়ার কারণে তাদের ছেলেমেয়েদের সমাপনী পরীক্ষার হলে নিজ শিক্ষকদের মাধ্যমে বিরুপ কোন প্রভাব পড়বে কি না তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন। এদিকে ঘূণিঝড় বুলবুলের মতো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের
বিদ্যায় অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে জানিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. দলিল উদ্দিন খান জানান, ‘শিক্ষকরা ছেলেপানদের থেকে টাকা নিছে, আবার তারা ফেরত দিয়া দিছে। ও ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।’ তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আদায়
করা টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘দুর্যোগের মধ্যে বিদায় অনুষ্ঠান ক্যামনে হবে। পরে আমরা অনুষ্ঠান করমু।’
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আভা রাণী (০১৭৪১৫৬৫০৩৯) ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল হকের (০১৭১৬৪৫৫২৪৫) মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেস্টায় কাউকেই পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, আগামি ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য স্কুল সমাপনী পরীক্ষায় ধানদী বাহাদুরপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুল থেকে মোট ২৪ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহনের কথা রয়েছে। আর এসব পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফেয়াওয়েলের অনুষ্ঠানের নামে আদায় করা হচ্ছিল মাথাপিছু ৭শ’ টাকা হারে। মেয়ে শান্তার চাঁদার টাকা পরিশোধে দিন আয়ের মানুষ ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নামে এক অভিভাবকের হতাশা নিয়ে ‘সমাপনির ফেয়ারওয়েলের চাঁদা ৭০০ টাকা ক্যামনে দিম?’ শিরোনামে গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে দৈনিক শিক্ষা। সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক মাধ্যমসহ স্থানীয়দের মাঝে। নড়েচড়ে বসেন উপজেলা শিক্ষা অফিসের লোকজন।