ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্ররা সাবলীলভাবে ইংরেজি পড়তে পারে না। বিষয়টি নজরে এসেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আক্তারুজ্জামানের। তাই, গত ৩১ জুলাই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবিকে বরখাস্ত করেছিলেন তিনি। কিন্তু, শিক্ষককে বরখাস্ত করে জারি করা আদেশে খোদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ২২ জায়গায় ভুল করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। নানা আলোচনা-সমালোচনার পর রোববার (৪ আগস্ট) সেই শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবিকে বরখাস্ত করে জারি করা আদেশটি প্রত্যাহার করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আক্তারুজ্জামান। ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবিকে বরখাস্ত করে জারি করা আদেশটি রোববার অনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আক্তারুজ্জামান। এর আগে, গত ৩০ জুলাই বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মো. আক্তারুজ্জামান। এ সময় বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সাবলীলভাবে ইংরেজি পড়তে পারে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করছিলেন তিনি। কিন্তু এ সময় কোনো শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের একটি চ্যাপ্টার সাবলীলভাবে পড়তে পারেনি। এ ছাড়া স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবি আইসিটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলেও মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠদান করেন না। তাই, ৩১ জুলাই ওই স্কুল ইংরেজির সহকারী শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবিকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আক্তারুজ্জামানের। বৃহস্পতিবার থেকে এই আদেশ কার্যকর হয়।
কিন্তু ছাত্র ইংরেজি না পারায় শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে জারি করা চিঠির ২২ জায়গায় ভুল করেছেন খোদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো.আক্তারুজ্জামান। তা নিয়ে শিক্ষক মহলে শুরু হয় সমালোচনা। অন্যদিকে শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসিয়াল চিঠি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর নানা মন্তব্যে সরগরম হয়ে উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
সূত্র আরও জানায়, নানা সমালোচনার পর রোববার শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবিকে বরখাস্ত করে জারি করা আদেশটি প্রত্যাহার করেছেনি ঝিনাইদহের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আখতারুজ্জামান। তবে, কি কারণে শিক্ষকের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে এ বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করে জানানো হয়নি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত চিঠিতে। যদিও শিক্ষক নার্গিস আক্তার ছবিকে বরখাস্ত করে জারি করা আদেশে তাকে বরখাস্ত কারার যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করেছিলেন ডিপিইও।