সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিরাজ উদ দৌলার আরও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, নুসরাত হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে প্রধান আসামি সিরাজ উদ দৌলাকে আদালতে তুলে আরও ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০ এপ্রিল অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে ৭ দিনের রিমান্ড দেন ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহমেদ।
আলোচিত এ মামলা এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধ্যে রয়েছেন ওই অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, আবদুর রহিম ওরফে শরিফ, ইফতেখার হোসেন রানা, এমরান হোসেন মামুন, মহিউদ্দিন শাকিল, হাফেজ আবদুল কাদের ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ওই মাদরাসার সহ-সভাপতি রুহুল আমিন।
মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজসহ ১২ জন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে তার সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।