সেরা শিক্ষকদের অতিথি করে গ্রামে পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে দুটি কথা - দৈনিকশিক্ষা

সেরা শিক্ষকদের অতিথি করে গ্রামে পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে দুটি কথা

মাছুম বিল্লাহ |

গ্রামের স্কুলে শিক্ষার মান বাড়াতে শহরাঞ্চলে অবস্থিত সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কিছু সময়ের জন্য ‘অতিথি শিক্ষক’ হিসেবে গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানোর প্রস্তাব এসেছে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে। গ্রামের স্কুলগুলোতে একদিকে যেমন শিক্ষকের সংকট চলছে, অন্যদিকে যারা আছেন তাদের মধ্যেও ভালো মানের শিক্ষক খুবই কম। ফলে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছে না। এ জন্যই প্রস্তাবটির অবতারণা। 

১৪ জুলাই শুরু হতে যাওয়া পাঁচ দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনে এই প্রস্তাব রাখা হয়। সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে মোট ৩শ’ ৩৩টি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসকগণ। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ১৮টি প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এসব প্রস্তাব নিয়ে সম্মেলনে মন্ত্রী সচিবদের উপস্তিতিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। ডিসিরা মাঠ পর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। আর তাই তাদের এই প্রস্তাবসমূহ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।

গ্রামের বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান বাড়াতে ডিসিরা প্রস্তাব করেছেন যে, সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অতিথি শিক্ষক হিসেবে গ্রামের বিদ্যালয়গুলোত পাঠাতে হবে। তাঁরা মনে করেন যে, এটি করা হলে শিক্ষার মান বাড়বে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। প্রস্তাবটি নিশ্চয়ই সাধুবাদ পাওয়ার মতো। দেশে শিক্ষার বিরাজমান নিম্নগামী হাল সম্পর্কে জেলা প্রশাসকগণ অবগত আছেন। এ বিষয়ে তাদের চিন্তা এবং উদ্বেগ সত্যিই প্রশংসনীয়।

কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রশাসন ক্যাডারে যারা আসেন তারা প্রায় সবাই স্কুল ও কলেজ জীবনে ভালো ও তুখোড় শিক্ষার্থী ছিলেন। দেশের বর্তমান নিম্নগামী শিক্ষার মানের কারণে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই তাদের এই প্রস্তাব। তবে, বর্তমান এই পরিস্থিতির অনেকটাই তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, তবে তারা কিছু করতে চাচ্ছেন; জেনে খুবই ভালো লেগেছে।

জেলা প্রশাসকগণ যেহেতু বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন তাই তাদেরকে আরও একটু গভীরে যাওয়ার অনুরোধ করছি। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদে যারা থাকেন তারা প্রায় সবাই রাজনৈতিক ব্যক্তি। শিক্ষার মানের নিম্নগামিতার এটি একটি বড় কারণ। এনটিআরসিএ (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ) এখন পর্যন্ত খুব ভালো কোনো উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেনি মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে। এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রাখছেন। আর তাদের যে বিষয়টির প্রতি খেয়াল তা হচ্ছে অর্থনৈতিক সুবিধা। এটি জেলা প্রশাসকগণ নিশ্চয়ই ভালোভাবে জানেন। এই বিষয়ে তাদেরে জোরালো ভূমিকা থাকলে অনেকটাই পরিবর্তন সম্ভব।

প্রতিটি জেলায় একজন করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আছেন, শিক্ষার মান নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহের কথা সাধারণত শোনা যায় না। তাদেরও আগ্রহ অন্যত্র। ফলে, মানের বিষয়টি উপেক্ষিতই থেকে গেছে।

দেশের বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলোতে পড়াশুনার যে হাল, শিক্ষাদানের যে পদ্ধতি, পরীক্ষায় উত্তরপত্র মূল্যায়নের যে করুণ দশা তার মধ্যে থেকে মানসম্মত শিক্ষার্থী এবং পরবর্তীকালে মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া কতটা সম্ভব তা আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি।

এবার এসএসসি পরীক্ষায় ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে পাস করেছে। তার অর্থ হচেছ দেশের সকল শিক্ষার্থী ইংরেজিতে বেশ ভালো, ফেল করার মতো শিক্ষার্থী তেমন একটা নেই। অথচ জেলা প্রশাসকগণও জানেন যে, গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে শুধু গ্রামের কেন আমি ঢাকা শহরের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকেও দেখেছি ইংরেজিতে তাদের দৌড় কতটা। আমার গবেষণার অংশ হিসেবে তাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে কিছু লিখতে দিয়েছি। প্রথম লাইন লিখেছে- ‘My school name ‘S’. তার পরের বাক্যগুলোতে যা লিখেছে তার কিছুই হয়নি, তবে বুঝে নিতে হয়েছে যে, তারা কী বলতে চেয়েছে। কিছু কিছু বিদ্যালয় আছে যেগুলোকে আমরা নামকরা বিদ্যালয় বলে থাকি। তারা শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে হোক আর জোর করে হোক ঐ প্যারাগ্রাফ বাজারের প্রচলিত বই থেকে মুখস্থ করিয়ে বার বার লেখায়। ফলে, শিক্ষার্থীরা লিখতে পারে, তবে নিজ থেকে লিখতে পারে না। এই হলো ভালো বিদ্যালয়ের নমুনা।

শেখানোর পদ্ধতিতেই রয়েছে সমস্যা, তারপর জাতীয় মূল্যায়নের ক্ষেত্রে রয়েছে বড় সমস্যা। এই শিক্ষার্থীরাই এই লেখা যখন বোর্ডের খাতায় লিখে আসবে, তারা ঠিকই  ‘এ’ এবং ‘এ প্লাস’ নম্বর পাবে। তাহলে কীভাবে তাদের অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যাবে? বিশাল চিন্তার বিষয়! 

শহরের বিদ্যালয়গুলোর  শিক্ষকদের গ্রামে পাঠানো হলে শহরের বিদ্যালয়গুলোর ক্লাস ও অন্যান্য কার্যাবলীতে সমস্যার সৃষ্টি হবে। শহরের এক একটি বিদ্যালয়ে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী থাকে, সেই অনুপাতে শিক্ষক থাকেন না। তারপরেও, এই ব্যবস্থা যদি করা যায় যে, বছরের এক বা দুই মাস এক বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পাঠদান করাতে হবে, তাতে এক ধরনের মজা থাকবে। শিক্ষকদের গবেষণাকাজে সুবিধা হবে। শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষকের সংস্পর্শে এসে এক ধরনের আনন্দ পাবে।

এ ছাড়া গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও অনেক ভালো শিক্ষক আছেন। তাদেরকে আশপাশের বিদ্যালয়ে মাঝে মাঝে ক্লাস নিতে হলে শিক্ষার্থীরা এবং বিদ্যালয় উপকৃত হবে। শিক্ষকগণও মজা পাবেন। শিক্ষকগণও ভালোভাবে প্রস্তুতি নেবেন নতুন জায়গায় ক্লাস নেয়ার জন্য। ঐসব ক্লাসে অপেক্ষাকৃত নতুন ও দুর্বল শিক্ষকদেরও উপস্থিত থাকতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সব শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে, তারা বছরে দুইমাস বা তিনমাস গ্রামের বিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস নিলে শিক্ষার্থীরা এক ধরনের স্বপ্ন দেখতে পারবে, আলাদা এক ধরনের আনন্দ পাবে।

আমার মনে আছে, আমরা যখন নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়ি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল মেডিকেলে পড়ুয়া আমাদের এলাকার অনেক বড় ভাই বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস নিতেন, খাতা দেখতেন। সেটা এক ধরনের মজাই ছিল। গ্রামের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানে দুর্বল থাকে, ভয়ে তারা বিজ্ঞান পড়তে চায় না। গণিতে দুর্বল থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদেরকে দু’মাস পড়ালে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বেসিক ধারণা পাবে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ শুরুর আগে সপ্তাহখানেকের একটি অরিয়েন্টেশন কোর্স থাকতে পারে। যাতে তারা শিক্ষার্থী ডিলিং ও শিক্ষণ-শেখানো বিষয়ে ভালো ধারণা নিয়ে যেতে পারে। তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে একটি লামসাম অর্থনৈতিক প্রণোদনা থাকতে হবে। এটি করা হলে দেশের প্রতি তাদের মমত্ববোধ আরও বেড়ে যাবে। এটি এক ধরনের জীবনমুখী শিক্ষা, যা তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শুরু করার সুযোগ পাবেন। 

দেশের চরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষাদানের জন্য স্থানীয়ভাবে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাব এসেছে। বলা হয়েছে, দুর্গম চরাঞ্চলে পদায়ন করা শিক্ষকেরা নিয়মিত ক্লাসে যান না। এ জন্য তারা দূরত্ব, দুর্গম পথ, বন্যাসহ বিভিন্ন কারণের কথা বলে থাকেন। এ জন্য এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের জন্য স্থানীয়ভাবে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।

এ ক্ষেত্রে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালিত কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। হাওড় অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে যেহেতু হাওড় অঞ্চলে মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া দুষ্কর। তাদেরকে আলাদা বেতন স্কেল প্রদান করা হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, শিক্ষকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বিদ্যালয় কম্পাউন্ডেই। এসব বিদ্যালয়ে রাত্রিকালীন ক্লাসও অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যেমন আগ্রহ, শিক্ষকদেরও তেমন আগ্রহ। কারণ তারা নির্জন এলাকায় বসে থাকার চেয়ে শিক্ষার্থী পরিবেষ্টিত থাকে বলে আনন্দেই সময় কাটায়। সরকার এ ধরনের উদাহরণ অনুসরণ করতে পারে। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সঠিক যাচাই-বাছাই ছাড়াই চলু করা বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা বিএড কলেজগুলো বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকগণ। এর যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান নামসর্বস্ব। আসলে ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষক টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে একটি সার্টিাফিকেট সংগ্রহ করেন শুধুমাত্র বেতন স্কেল পরিবর্তনের জন্য। তাই তারা যে কোনো মূল্যে একটি কাগজ সংগ্রহ করতে চান, তা সে প্রতিষ্ঠান সরকারি হোক আর বেসরকারি হোক। 

ক’দিন পূর্বে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের এক সহকর্মী বন্ধু দেখালেন যে,  ক্লাস শুরুর দিন মাত্র একজন শিক্ষার্থী (প্রশিক্ষণরত শিক্ষক) তার ক্লাসে উপস্থিত। এই হলো সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অবস্থা। বেসরকারিতে যে কী অবস্থা তা জেলা প্রশাসকগণ বুঝতে পেরেই  প্রস্তাব রেখেছেন। 

অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- শিক্ষার মান উন্নয়নে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন। চমৎকার প্রস্তাব! প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা টিভি চালু করার প্রস্তাবও চমৎকার। তবে সেখানে শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যক্তিদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। পাওয়া যাবে রাজনৈতিক লোকজন। তারাই দখল করে রাখবেন সেই চ্যানেল। আর হয়তো পাওয়া যাবে শুধুমাত্র সরকারি শিক্ষক যারা বিভিন্ন স্কুল কলেজে কাজ করছেন, শিক্ষা নিয়ে তারা কিছু চিন্তা করুক আর নাই করুক। তাদের বাইরে যে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ আছেন সেটি খুঁজে দেখার সময় চ্যানেলগুলোর থাকবে না। তবে, প্রস্তাবটি ভালো। আজ হোক, কাল হোক শিক্ষা নিয়ে যারা চিন্তা ভাবনা করেন তাদের হয়তো দু’একজন হলেও শিক্ষা চ্যানেলে কথা বলার সুযোগ পাবেন।

শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ার এটিও একটি কারণ : যারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন, চিন্তা করেন তারা শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে নেই, পরিকল্পনায় নেই, কোনো সিদ্ধান্তে নেই। রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা না থাকলে তাদের কোথাও যেন স্থান নেই।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়াল ঘেঁষে মার্কেট তৈরি নিষিদ্ধ করা। এটি আইনগত বিষয়। এর সুরাহা দরকার। প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি স্কুল বা কলেজ করার প্রস্তাবও করেছেন জেলা প্রশাসকগণ। সরকারের শিক্ষা পরিকল্পনাতেই বিষয়টি আছে। এখন প্রয়োজন শুধু বাস্তবায়নের। পরিশেষে মাননীয় জেলা প্রশাসকদের সাধুবাদ জানাচ্ছি শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা ও প্রস্তাবনার জন্য। 

লেখক : ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত সাবেক ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজ শিক্ষক।

হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.014703035354614