সোনার ছেলেদের দানব বানাল কারা? - দৈনিকশিক্ষা

সোনার ছেলেদের দানব বানাল কারা?

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, টর্চার সেলে অমানুষিক নির্যাতন, মারামারি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হলের সিট বিক্রি, মাদক গ্রহণ ও বাণিজ্য এবং আধিপত্য বিস্তারের অশুভ লক্ষ্যে নিজস্ব পেটুয়াবাহিনী রয়েছে। এসব বাহিনী র‌্যাগিংয়ের নামে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিয়ত করছে নির্যাতন ও হয়রানি। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়, সম্প্রতি এসব কাহিনী পত্র-পত্রিকাসহ সব মিডিয়ায় বড় শিরোনামে প্রচার পাচ্ছে। সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের আচরণ ও তাদের গৃহীত কর্মকাণ্ডে ক্যাম্পাসে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দেশের সুধী সমাজসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ দারুণভাবে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।

যে কোনো দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উচ্চশিক্ষা লাভের একটি পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা জাতিকে এগিয়ে নিতে, দেশ ও জনগণের সেবা করার লক্ষ্যে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত এবং যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ লাভ করে থাকে।

প্রতিটি ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষা লাভের সঙ্গে সঙ্গে গবেষণা, মুক্তবুদ্ধির বিকাশ এবং সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ গ্রহণ করে। আমাদের দেশে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য যারা সুযোগ পায়, তারা নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করে। মনে করা খুবই স্বাভাবিক।

বলাবাহুল্য যে, বাংলাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উচ্চতর গ্রেড পেয়ে মেধা, যোগ্যতা ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রকৌশল, মেডিকেল ও সাধারণ শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থী। নিঃসন্দেহে এই ছাত্রছাত্রীরা তাদের পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন ও শিক্ষক-শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে সোনার ছেলে-মেয়ে হিসেবে বিবেচিত হয়।

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, সম্প্রতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব সোনার ছেলেদের বিরুদ্ধে হত্যা, লাঠিপেটা, নির্যাতন, মাদকাসক্তি, মাদক বাণিজ্য টর্চার সেল তৈরিসহ নানা অনৈতিক ও অমানবিক কার্যকলাপের খবর আসছে প্রতিনিয়ত। বিগত ৬ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখ রাতে বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে তাদের সতীর্থ আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে। এ খবরে সমগ্র জাতি স্তম্ভিত, মর্মাহত ও বিস্ময়ে হতবাক হয়েছে। আবরারকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে একই হলের ২০০১ নং কক্ষে রাত ১০টা থেকে আনুমানিক সাড়ে চার ঘণ্টা বিরতিহীনভাবে ১১ জন ছাত্র হকিস্টিক, রড ও চেইন দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। একই হলের আরও ১৪ জন ছাত্র এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, আবরারের ওপর পৈশাচিক নির্যাতনের সময়ে সে বেশ ক’বার পানি পান করতে চেয়েছে, দু’বার বমি করেছে এবং প্রাণভিক্ষাও চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্র নামধারী নরপশুদের মনে কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি, কোনো দয়া-মায়া হয়নি বরং তাকে আমৃত্যু পিটুনির যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। ভাবতেই কষ্ট হয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ২৫ জন ছাত্র কীভাবে তাদেরই একজন মেধাবী সহপাঠী আবরার ফাহাদকে এত নিষ্ঠুর, নৃশংস, বর্বরোচিত ও দানবীয় কায়দায় হত্যা করতে পারল!

বুয়েট ছাত্রলীগের এই ২৫ জন ছাত্রের সঙ্গে আবরার ফাহাদের কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না, বিরোধ ছিল না বা অতীতে তাদের সঙ্গে কোনো বিভেদও ছিল না। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে ৪টি জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি হয়েছিল, তার সমালোচনা করেছিল আবরার। তার ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিল মাত্র। স্ট্যাটাসে সর্বশেষে একটি কবিতা উদ্ধৃত করেছিল। যা নিম্নরূপ:

‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি

এ জীবন মন সকলি দাও,

তার মতো সুখ কোথায়ও কি আছে

আপনার কথা ভুলিয়া যাও।’

এই স্ট্যাটাসটি তার অপরাধ ছিল, যার জন্য আবরারকে জীবন দিতে হল। দেশে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন বিদ্যমান আছে। স্ট্যাটাসে যদি কোনো আপত্তিকর কিছু থাকে, তাহলে প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারত, বিচার হতে পারত। অপরাধী প্রমাণিত হলে শাস্তি হতো। কিন্তু এই অজুহাতে শেরেবাংলা হলের ২৫ জন ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে হত্যার সাহস কোথায় পেল? তাদের কে সাহস দিয়েছে?

বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ড বর্তমান অনির্বাচিত ও গায়ের জোরের সরকারের আমলে বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা নয়। গত দশ বছরে ছাত্রলীগ নেতা ও কর্মীদের হাতে নিহত হয়েছে- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন, এইচএসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষার্থী (যুগান্তর, ৮ অক্টোবর ২০১৯)। এসব হত্যাকাণ্ডের যদি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করা হতো, তাহলে হয়তো বুয়েটে এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটত না।

আবরারের বিষয়ে মন্তব্য করতে গেলেই অভিযোগ উঠছে, আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। তাই এ লেখার প্রধান লক্ষ্য, আবরারের হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত বুয়েটের ২৫ জন ছাত্রের বিষয় নিয়ে। আবরার তো সংঘাতময় ও অস্থির সমাজের সব ভবিষ্যৎ ঝুঁকি থেকে চিরতরে মুক্তি পেয়েছে।

অথচ আবরার ফাহাদের হত্যাকারী ২৫ জন মেধাবী ছাত্রের ভবিষ্যৎ কত কদর্য, বেদনাদায়ক ও অসার হয়ে গেল, তা ভাবতেও কষ্ট হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অতিদ্রুত বুয়েট ছাত্রলীগের ২৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১৩ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সিএমএম কোর্টে চার্জশিট দাখিল করেছেন।

দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, চার্জশিট নির্ভুল হয়েছে (যুগান্তর, ১৪ নভেম্বর ২০১৯)। বুয়েট কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ২৬ জন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছে এবং বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করেছে।

আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িত বহিষ্কৃত ২৬ জন এবং র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত বুয়েট থেকে ২৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে, তারা কারা?

এই ছেলেরা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে সেরা ছাত্র বলে স্বীকৃত। এই ছেলেদের নিয়ে তাদের পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক ও আশপাশের মানুষ কতটা গর্বিত ছিল! এরা তো সবাই সোনার ছেলে হিসেবে সমাজে পরিচিত হতো, আর সে যোগ্যতার জন্যই বুয়েটের মতো বিদ্যাপীঠে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছিল। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, সোনার ছেলেগুলো বুয়েটের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর মানুষ নয়, দানবে পরিণত হয়ে গেল।

কারা এই সোনার ছেলেদের দানবে রূপান্তরিত করল, তা আজ সমাজের সব মহলের জিজ্ঞাসা। এই ছেলেগুলোর তো অনেক স্বপ্ন-উচ্চাশা ছিল, তাদের পিতা-মাতা তাদেরকে ঘিরে কত সোনালি স্বপ্ন বুনেছিল। এদের সব স্বপ্ন আজ ধুলোয় মিশে গেল। এ দায় কার? এ দায় তো, কাউকে না কাউকে নিতে হবে।

শুধু বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে ইতঃপূর্বে উল্লিখিত যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেসব ঘটনায় নিহত ও হত্যাকারী সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া মেধাবী ছাত্র, সোনার ছেলে। কয়েক বছর আগে দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে রাস্তায় বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায়ে ফাঁসির শাস্তি পাওয়া সব ছাত্রই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

যারা খালাস পেয়েছে তারাও ছাত্রলীগের সদস্য। বুয়েটসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে চিহ্নিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মেধাবী ছাত্র হওয়ার পরও এত বেপরোয়া, উচ্ছৃঙ্খল ও দানবীয় আচরণে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে, তা নিয়ে দেশের সব মানুষ উদ্বিগ্ন। ঘটনাবলির বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তারা তাদের নিজস্ব বলয়ে কর্তৃত্ববাদী প্রভাব বিস্তার করার জন্য ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক প্লাটফরম ব্যবহার করে।

তারা এই রাজনৈতিক পরিচয়কে শেল্টার হিসেবে গ্রহণ করছে। তাদের পরিমণ্ডলে রাজত্ব কায়েম করে বিভিন্ন ফায়দা হাসিল করছে। ফলে দেখা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ৮৬ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে দল থেকে বহিষ্কার হয়।

শ্রুতি আছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের ওই উপাচার্য ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ঈদের বকশিশ হিসেবে দিয়েছিলেন। সরকার সমর্থিত ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরেই নয়, বাইরেও টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে, যা এখন ওপেন সিক্রেট।

এক সময়ে যে ছাত্র রাজনীতি আদর্শভিত্তিক ও গৌরবের ছিল, তা বর্তমানে ফায়দাভিত্তিক বা ব্যবসাভিত্তিক অপরাজনীতিতে পরিণত হয়েছে।

ছাত্র রাজনীতির এহেন অবক্ষয় চরম আত্মঘাতী। এই অবক্ষয়ের জন্য কি শুধু ছাত্ররাই দায়ী? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সমাজ ব্যবস্থা এবং সরকারের কি কোনো ভূমিকা নেই, দায়বদ্ধতা নেই?

১৯৭৩ সালে যে মহান উদ্দেশ্য সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিনেন্স প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হচ্ছে না। বিগত ১০ বছর ধরে অর্ডিনেন্সের বিধিবিধানকে উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে শুধু দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

আনুগত্যের কাছে যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততা নির্মমভাবে মার খেয়েছে, পরাজিত হয়েছে। ক্যাম্পাসগুলোতে উদার, মুক্ত ও নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জ্ঞান লাভের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গবেষণা।

বলার অপেক্ষা রাখে না, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা ছাড়া গবেষণা কাজও সম্ভব নয়। অত্যন্ত দুঃখজনক যে, বর্তমান বিশ্বের ১০০০টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পায়নি।

বর্তমানে আশঙ্কাজনকভাবে অপরাজনীতি বিদ্যমান থাকায় প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম অস্থিরতা বিরাজমান। ছাত্র-শিক্ষকরা এক কাতারে শামিল হয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে।

এই অপরাজনীতির কারণে বেসরকারি আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব নির্ধারিত সমাবর্তন শেষ সময়ে এসে বাধ্য হয়ে বাতিল করেছে। উচ্চতর শিক্ষার এই স্তরে এ ধরনের নৈরাজ্য, অরাজকতা ও অস্থিরতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে বাধ্য।

বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শান্তি-শৃঙ্খলা, মুক্ত জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষার পরিবেশ দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা জরুরি। শিক্ষা ক্ষেত্রে এই অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা ও রাজনীতির নামে টেন্ডারবাজি এবং গুণ্ডামি বন্ধ করতে প্রয়োজন জনগণের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার।

পরিস্থিতি উন্নয়নে গণতান্ত্রিক সরকারের সদিচ্ছা, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ও আন্তরিক সহযোগিতা একান্তভাবে অপরিহার্য। জনগণের প্রত্যাশা দেশের সোনার ছেলেরা ক্যাম্পাস থেকে আর যেন দানবে রূপান্তরিত না হয়। সোনার ছেলের গৌরব নিয়ে জাতির ভবিষ্যৎ সুনাগরিক ও যোগ্য কাণ্ডারি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে, এমন পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে।

আর এ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হলে দেশের জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারী, সব ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অধিকারী, দেশপ্রেমিক ও গণমুখী একটি সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। এই লক্ষ্য পূরণে জনগণের মধ্যে যত দ্রুত ঐক্য ও সচেতনতা তৈরি হবে, দেশের জন্য ততই মঙ্গল।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন : সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী; সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি এবং সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ভূ-তত্ত্ব বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003715991973877