সৌন্দর্য বর্ধনের নামে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বীরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রজাতির ১৬ টি গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। বনবিভাগের অনুমতি ছাড়াই ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম রাসেল গাছগুলো কেটে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, গাছগুলো কাটার পরে টমটমে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১৬টি গাছের মধ্যে মেহগনী গাছ ১৪ টি, শিশু গাছ ১ টি ও বকুল ফুল গাছ ১টি। এর আগে পাঁচ দিন আগ থেকে কয়েকজন শ্রমিক ওই গাছগুলো কাটা শুরু করেন। গতকাল কাটা শেষ হয়।
এ সময় উপস্থিত মো. গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গাছগুলো তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাছ ব্যবসায়ী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন,‘গাছগুলো খুবই কম দামে বিক্রি করা হয়েছে। এর মূল্য হবে কমপক্ষে এক লাখ টাকা।’ নিয়মানুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে বন বিভাগের অনুমতি লাগে। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেই নিয়ম অমান্য করেছেন।
নিজাম উদ্দিন নামে এক স্থানীয় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন,‘উল্টোপথে চলছে বিদ্যালয়টি। সৌন্দর্য় বর্ধনের জন্য সাবেক প্রধান শিক্ষক গাছ লাগিয়েছেন। আর বর্তমান প্রধান শিক্ষক সৌন্দর্য়বর্ধনের নামে গাছ কেটে বিক্রি করছেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য বিজয় কৃষ্ণ দাস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন,‘এর আগেও প্রধান শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ের বিপুল পরিমান গাছ এক লাখ টাকায় বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছেন।’
অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম রাসেল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন,‘গাছগুলোর কারণে সৌন্দর্য বিনষ্ট হচ্ছে। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে বিদ্যালয়টির শতবর্ষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এ কারণে গাছ কাটার জন্য এলাকাবাসীর চাপ ছিল। তাই অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে স্কুলের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মো. ইউসুফ আলী হাওলাদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার জানা মতে গত বছর ধার-দেনা করে বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই দেনা পরিশোধের জন্য প্রধান শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষকেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে গাছ বিক্রি করেছে। আজকে (বুধবার) প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানলাম এ বিষয়ে নাকি রেজুলেশনও হয়েছে।