কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ের কয়েকটি শ্রেণীকক্ষ থাকা সত্ত্বেও ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধেকটা জুড়ে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে একদিকে স্কুলে পাঠদান ও দাফতরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে সংকীর্ণ স্থানে পুলিশ সদস্যদের থাকতে সমস্যা হচ্ছে। এ নিয়ে গত রোববার একটি জাতীয় দৈনিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সংবাদ পত্রিকার এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
শুধু কয়া পুলিশ ফাঁড়িই নয়, সারা দেশে এরকম ২২৮টি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে, যেগুলো স্কুল-কলেজ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভবন থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এর ফলে প্রথমত স্কুলগুলোতে পাঠদান হচ্ছে না ঠিকমতো, দ্বিতীয়ত, স্কুলের দাফতরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে, সদস্যদের থাকতে সমস্যা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে যে, বিদ্যালয়ে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে কেন? আর স্কুল-কলেজে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলে সেসব স্কুল-কলেজের পাঠদান ও দাফতরিক কাজ ব্যাহত হবে এটাই স্বাভাবিক। ২২৮টি পুলিশ ফাঁড়ি যে এভাবে চলছে নিজস্ব ভবন ছাড়া সেটা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে জানে না, তা নয়।
স্কুল-কলেজ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে পুলিশ ফাঁড়ি থাকার কোন যৌক্তিকতাই নেই। আর যেখানেই হোক স্কুল-কলেজে অন্তত পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করাটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা চাই, দ্রুত স্কুল-কলেজ থেকে পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেয়া হোক। স্কুল-কলেজের পাঠদান যাতে ব্যাহত না হয় অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এ কাজটি করতে হবে দ্রুত।