টাইমস্কেলের বদলে বেসরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীরা উচ্চতর গ্রেড পাবেন। ২৪ নভেম্বর এমপিও কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুই-একদিনেই সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে জানানো হবে। আর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে মাঠপর্যায় থেকে শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেডের আবেদন গ্রহণ শুরু করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। সোমবার (২৫ নভেম্বর) অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পরবর্তী এমপিও কমিটির সভায় উত্থাপনের জন্য শিগগিরই শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেডে আবেদন গ্রহণ করা শুরু হবে।
গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এমপিও কমিটির সভায় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা গেছে, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পদ্ধতি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ নিয়মে টাইমস্কেল সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন কয়েক লাখ এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী। তাদের বিষয়টি মাথায় রেখে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের ‘টাইমস্কেলের’ পরিবর্তে ‘উচ্চতর গ্রেড’ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গত মার্চে শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার ঘোষণা দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সে প্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর এমপিও কমিটির সভায় সর্বসম্মতিতে শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এমপিও কমিটির সভায় সর্বসম্মতিতে শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত দু-একদিনের মধ্যেই অনুষ্ঠানিকভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে জানানো হবে। সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে উচ্চতর গ্রেডের আবেদন গ্রহণের নির্দেশনা দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে আবেদন চাওয়া হবে। যোগ্য শিক্ষকদের সবার আবেদন পাঠাতে হবে। অনলাইনে এমপিও আবেদনের প্রক্রিয়ায়ই শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির আবেদন অনলাইনের মাধ্যমে নেয়া হবে।
জানা গেছে, টাইমস্কেলের নিয়মেই ‘উচ্চতর গ্রেড’ পাবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। অর্থাৎ ১০ বছর পূর্তিতে একটি এবং চাকরির ১৬ বছর পূর্তিতে আরও একটি, মোট দুইটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন শিক্ষকরা।