লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১ ব্যাগ (১০০ প্যাকেট) বিস্কুট নিয়ে যাওয়ার সময় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সহিদুল ইসলামকে আটক করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই বিস্কুটগুলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দারিদ্রপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং (প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের) এর জন্য।
জানা গেছে, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে আটক করে। সেখানে বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আনিছুর রহমান মানিক উপস্থিত থাকায় বিস্কুটসহ তার ছবি তুলে ছেড়ে দেন এবং ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. ঈমান ফারুক (৫০) বলেন, প্রধান শিক্ষক মাঝে মধ্যেই কার্টুন ভর্তি বিস্কুট স্কুল থেকে কৌশলে নিয়ে যান। আমরা গতকাল একব্যাগ বিস্কুটসহ তাকে আটক করি। এ সময় বাউরা ইউনিয়নের মেম্বার আনিছুর রহমান মানিক উপস্থিত ছিলেন। আমরা তার কাছে বিস্কুটসহ প্রধান শিক্ষককে দিয়েছি।
রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মো. রেজাউল করিম সেলিম বলেন, প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম প্রায় স্কুল থেকে গোপনে বিস্কুট নিয়ে যান। আমি মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে বাউরা রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাহারা কৌশল করে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমার ব্যাগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। তার উপরে আমি ছেঁড়া-ফাঁটা বিস্কুটের প্যাকেটগুলো উপজেলা বিস্কুট অফিসে ফেরত দেয়ার জন্য নিয়ে ছিলাম।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মো. আবুল হোসেন বলেন, আমি ফেসবুকে দেখেছি। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া হবে।