করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে সরকারের দেয়া স্কুল ফিডিংয়ের বিস্কুট বিতরণ বন্ধ আছে। আর কাঙ্ক্ষিত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। স্কুল ফিডিংয়ের বিস্কুট শিশুদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু ২৫ থেকে ৫০ প্যাকেট বিস্কুট বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।গত ২৯ এপ্রিল এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দারিদ্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মাদ সোহেল হাসান স্বাক্ষরিত নির্দেশনা বলা হয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অধীন দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুলফিডিং শীর্ষক প্রকল্পের ১০৪টি উপজেলায় বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে। এতে প্রকল্প এলাকার শিশুরা বিদ্যালয়ে আসতে না পারায় কাঙ্ক্ষিত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ অবস্থায় খুলনা ও রাজবাড়ী জেলায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে এমন মজুত বিস্কুট শিগগিরই বিভিন্ন বিদ্যালয় ও এনজিও সংরক্ষণাগার থেকে সংগ্রহ করে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে সন্নিহিত অঞ্চলের (ক্যাচমেন্ট এরিয়া) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী শিশুদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, পর্যায়ক্রমে প্রকল্পভুক্ত সব উপজেলায় একই পদ্ধতিতে বিস্কুট বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহিত সমন্বিত কর্মপরিকল্পনার আলোকে একটি বিতরণ নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক যথারীতি অনুমোদিত হয়েছে। এ অবস্থায় প্রণীত নির্দেশিকা অনুসরণ করে প্রকল্পভুক্ত সব উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের প্রত্যক্ষ সমন্বয়ে (করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত গাইডলাইন প্রতিপালন সাপেক্ষে) জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বাড়ি গিয়ে স্থানীয় মজুত সাপেক্ষে এককালীন মাথাপিছু ২৫ থেকে ৫০ প্যাকেট বিস্কুট বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হলো।