পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডার পাকুড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজের মান ভালো না হওয়ায় লিন্টেল ঢালাই ভেঙে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি। গতকাল সোমবার সকালে ঠিকাদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিচালনা কমিটিসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করে ভবিষ্যতে কাজের মান খারাপ হবে না এবং ভবনের কোনো ত্রুটি দেখা দিলে ঠিকাদার দায়ী থাকবে উল্লেখ করে লিখিতভাবে মুচলেকা দিয়েছেন। এরপর নতুন করে নির্মাণকাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটি, নির্মাণ শ্রমিকদের দেওয়া তথ্য মতে, জাইকার অর্থায়নের ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার পাকুড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই কক্ষের ভবন নির্মাণকাজ শুরু করেছে মেসার্স আতিয়ার কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত রোববার রাতে ঠিকাদারের লোকজন জানালার লিন্টেল ঢালাইয়ে রডের যথাযথ ব্যবহার না করে ঢালাই কাজ শেষ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে সকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্য, ইউপি সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়ে ঢালাইটি ভেঙে কাজ বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
পাকুড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঠিকাদার ভবিষ্যতে নির্মাণ কাজের মান খারাপ করবে না এবং ভবনের কোনো ত্রুটি হলে দায়ী থাকবে বলে লিখিতভাবে মুচলেকা দিয়েছেন। এরপর কমিটির সকলের সিদ্ধান্তে তাকে নতুন করে কাজ শুরু করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম দাবি করেন, ঢালাই কাজে একজন মিস্ত্রিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনিই কাজটি খারাপ করে পালিয়েছেন। এ জন্য তিনি ঠিকাদার হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে নির্মাণকাজের মান খারাপ হবে না বলে লিখিতভাবে মুচলেকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবির জানান, ‘খবরটি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেব।’
স্থানীয় গণমাণ্য ব্যক্তিরা বলছেন, পাকুড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো দেশের অন্যান্য এলাকার প্রকল্পের নির্মাণকাজ যদি এভাবে দেখভাল করা হতো এবং ঠিকাদারকে দায়বদ্ধতার মধ্যে রাখা যেত তাহলে কাজের নানা রকম অনিয়ম, দুর্নীতি দূর হতো।